ব্যাঙ্ক গ্রামে যাচ্ছে কই!

বাড়তে থাকা অনুৎপাদক সম্পদের ধাক্কায় হালে বিপন্ন হয়েছে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মোদী সরকার দেশের প্রতিটি মানুষকে ব্যাঙ্ক পরিষেবার আওতায় আনার কথা বললেও, গত কয়েক বছর ধরে গ্রামে ব্যাঙ্কের শাখা খোলা প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের অতিরিক্ত প্রধান সচিব ও অর্থ সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। তাঁর দাবি, সাত বছর আগে রাজ্যের ১৬০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যাঙ্কহীন বলে চিহ্নিত হয়। এখনও ৬৭০টিতে শাখা খোলেনি।

Advertisement

বাড়তে থাকা অনুৎপাদক সম্পদের ধাক্কায় হালে বিপন্ন হয়েছে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য। বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। সম্প্রতি নাবার্ডের সভায় দ্বিবেদী বলেন, ‌ব্যাঙ্কিং শিল্প সঙ্কটে পড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামে শাখা খোলা প্রায় বন্ধ। একই সুর বন্ধন ব্যাঙ্কের সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষের। তাঁর দাবি, বহু বেরসকারি ব্যাঙ্ক শাখা খুললেও, শুধু টাকা জমা নেয়। ঋণ দেয় না।

দ্বিবেদীর বক্তব্য, কেন্দ্র সকলকে আর্থিক উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল করার যুক্তি দেখিয়ে জনধন অ্যাকাউন্ট খুলতে বলছে। কিন্তু তাঁর মতে, একে তো প্রতিটি পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্কের শাখা না-খুললে সকলকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া কঠিন। তার উপরে অনেক ক্ষেত্রে, যে শাখায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার থেকে গ্রাহকের বাড়ি কয়েক মাইল দূরে। ফলে তা ব্যবহারই হচ্ছে না। দ্বিবেদীর অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট খুলেও লেনদেন না-হলে উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে।

Advertisement

এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে আগামী অর্থবর্ষে ৪৩,৯০০ কোটি টাকা বেশি ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নাবার্ডের। প্রথমে ব্যাঙ্ক ও রাজ্য ঋণ দেবে। পরে ওই টাকা মেটাবে নাবার্ড। সিজিএম সুব্রত মণ্ডল বলেন, ঋণে অগ্রাধিকার পাবে কৃষি ও ছোট শিল্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement