Finance Minister

ঋণ মুছেছে ১০ লক্ষ কোটির, চলছে উদ্ধার প্রক্রিয়া

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলাসীতারামন বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় এই বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করে ব্যাঙ্কগুলি। ওই সময়ে ৬,৫৯,৫৬৯ কোটির এনপিএ উদ্ধারও করেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫২
Share:

২০০৮ সালের ৩১ মার্চের হিসাবে ব্যাঙ্কগুলির দেওয়া মোট ঋণের অঙ্ক ছিল ২৩,৩৩,৮২৩ কোটি টাকা। ২০১৪-র ৩১ মার্চ তা দাঁড়ায় ৬১,০০,৮৪৮ কোটি। প্রতীকী ছবি।

গত পাঁচটি অর্থবর্ষে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি মোট ১০,০৯,৫১১ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) হিসাবের খাতা থেকে মুছেছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলাসীতারামন বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় এই বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করে ব্যাঙ্কগুলি। ওই সময়ে ৬,৫৯,৫৬৯ কোটির এনপিএ উদ্ধারও করেছে।

Advertisement

এ দিন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের এক প্রশ্নের উত্তরে নির্মলা জানান, ২০০৮ সালের ৩১ মার্চের হিসাবে ব্যাঙ্কগুলির দেওয়া মোট ঋণের অঙ্ক ছিল ২৩,৩৩,৮২৩ কোটি টাকা। ২০১৪-র ৩১ মার্চ তা দাঁড়ায় ৬১,০০,৮৪৮ কোটি। কিন্তু আগ্রাসী ঋণ বণ্টন, স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপ ও শ্লথ অর্থনীতির ফলে ব্যাঙ্কগুলির ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত দাঁড়ায় ৯.৮%। এর পর থেকে এনপিএ চিহ্নিত করা, মীমাংসা, পুঁজি ঢালা, সংস্কারের মতো সরকারি পদক্ষেপে চলতি বছরের ৩১ মার্চ তা ৫.৯ শতাংশে নামে। নির্মলার বক্তব্য, ‘‘হিসাবের খাতা পরিষ্কার করা ব্যাঙ্কগুলির নিয়মিত প্রক্রিয়া। পুঁজির সংস্থান, করের সুবিধার জন্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিধি মেনে পর্ষদের নীতি অনুযায়ী সেই প্রক্রিয়া চালায় তারা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, গত পাঁচ অর্থবর্ষে ১০,০৯,৫১১ কোটি টাকা হিসাবের খাতা থেকে মুছেছে তারা।’’

রাজ্যসভায় অন্য এক প্রশ্নে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড জানান, ২০২১-২২ সালে ১,৭৪,৯৬৬ কোটি টাকার ঋণ মুছেছে ব্যাঙ্কগুলি। যদিও কতগুলি অ্যাকাউন্টের, তা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে জানায়নি তারা। আবার ওই অর্থবর্ষেই মুছে দেওয়া বকেয়া ঋণ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩,৫৩৪ কোটি। তবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ৪৫ই ধারায় গ্রাহকভিত্তিক ঋণের তথ্য দেওয়া যায় না। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারামন ইয়েচুরির দাবি, ‘‘কেন্দ্র মানছে যে বাকি ১,৪১,৪৬২ কোটি টাকা চুরি করতে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বড় ঋণখেলাপিদের তথ্য গোপন করা হচ্ছে, তাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে দেওয়া অনুদানের তথ্য গোপন থাকা উচিত নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement