৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বসবে রিবেট। প্রতীকী ছবি।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা অর্থবর্ষে আয়করের নতুন বিকল্পকেই মূল কর কাঠামো ধরা হবে বলে বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এতে বেশিরভাগ ছাড় উঠে গিয়ে বাড়ানো হয়েছে করছাড়ের সীমা। বলা হয়েছিল, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বসবে রিবেট। অর্থাৎ, ওই অঙ্ক পর্যন্ত রোজগার করলে বসবে না কর। কিন্তু দেখা গিয়েছে, তার সামান্য বেশি টাকা আয় করলেই বড় অঙ্কের আয়কর গুনতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সুরাহা দিতে অর্থবিলের সংশোধনী আনল কেন্দ্র। শুক্রবার যা লোকসভায় পাশ হয়েছে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, দেখা যাচ্ছে যদি কোনও ব্যক্তি ৭ লক্ষ টাকা আয় করেন, তা হলে তিনি কর দেবেন না। কিন্তু অন্য কোনও ব্যক্তি যদি ১০০ টাকাও বেশি রোজগার করেন (আয় ৭,০০,১০০ টাকা), তা হলেই তাঁকে দিতে হবে ২৫,০১০ টাকা কর। এতে সামান্য আয়ের তফাত হলেই চাপে পড়ে যাবেন আমজনতার একাংশ। যে কারণে সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ৭ লক্ষ টাকার উপর যতটুকু আয় বেশি হবে, সেই টাকাই কর হিসেবে মেটাতে হবে করদাতাকে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, উপরের উদাহরণ ধরলে কেন্দ্রের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুসারে ৭,০০,১০০ টাকা আয়ে কর বসবে ১০০ টাকাই। ২৫,০১০ টাকা নয়। ফলে অনেকটা সাশ্রয় হবে মানুষের।
কর বিশেষজ্ঞদের মতে, পরের বছর থেকে নতুন বিকল্পকে মূল কর কাঠামো ধরা হবে ঠিকই। কিন্তু পুরনো বিকল্পও চালু থাকবে। চাইলে কেউ তা বাছতে পারেন। এই অবস্থায় যাতে মানুষ নতুন বিকল্পে উৎসাহ না-হারান, সে জন্যই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এ দিন অবশ্য ৭ লক্ষের উপরে ঠিক কত টাকা পর্যন্ত আয়ে সুরাহা মিলবে তা স্পষ্ট করেনি মোদী সরকার। তবে সমস্ত হিসাব ধরলে ৭,২৭,৭৭৭ টাকা পর্যন্ত আয় করলে এই সুবিধা মিলবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈনের মতো অন্য অংশ অবশ্য বলছেন, নতুন কর ব্যবস্থাতেও ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা মিলবে। তাই বাস্তবে ৭.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয় বলে ধরা হবে। সে ক্ষেত্রে ওই ৭.৫ লক্ষ টাকার উপরে যে বাড়তি আয় হবে, সেই টাকাই কর দিতে হবে। তবে এই সুবিধা শুধু চাকুরিজীবী এবং পেনশনপ্রাপকদের (যাঁরা মাসে মাসে টাকা পান) ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে দাবি জৈনের। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী বা পেশাদারদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু খরচ মোট আয় থেকে বাদ দিয়েই করযোগ্য আয় হিসাব হয়। ফলে তাঁরা এর আওতায় আসবেন না।