প্রতীকী ছবি।
অতিমারি তাদের বিধ্বস্ত করেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ফের ধাক্কা দেয় আকাশছোঁয়া জ্বালানির জেরে বাড়তে থাকা পরিবহণ খরচ এবং তার হাত ধরে আগুন দরের কাঁচামাল। হোটেল-রেস্তরাঁগুলির অভিযোগ, এমন অবস্থায় তাদের রান্নার কাজে ব্যবহারের ১৯ কেজির সিলিন্ডার এত দামি হয়েছে যে, কার্যত শিল্পের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ওই সিলিন্ডারে জিএসটির হার ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% করার আর্জি জানিয়েছে তাদের সংগঠন এফএইচআরএআই।
১৪.২ কেজি-র সিলিন্ডারে ৫% জিএসটি চাপলেও, ১৯ কেজিতে চাপে ১৮%। এ মাসে কলকাতায় যা ২৭০.৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০৭৩.৫০ টাকা। দিল্লিতে বেড়েছে ২৬৬.৫০ টাকা। সংগঠনের দাবি, ২০১৪-র জানুয়ারির পরে এতটা বৃদ্ধি এই প্রথম। তাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরবক্সিশ সিংহ কোহলি বলছেন, করোনায় তাঁরাই সর্বাধিক লোকসান গুনেছেন। ৩০% হোটেল-রেস্তরাঁ বন্ধ। ২০% পুরোদস্তুর খোলেনি। বাকি ৫০ শতাংশের ব্যবসা করোনার আগের অর্ধেকেরও কম। পরিবহণ খরচ বাড়ায় কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৩০%। পরিস্থিতি আরও শোচনীয় গ্যাসের দামে। কিছু রেস্তরাঁ খাবারের দাম বাড়িয়েছে। ফলে ভুগছেন ক্রেতারাও।
জিএসটি কমানোর আর্জি হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ারও। তাদের সেক্রেটারি প্রণব সিংহ বলেন, ‘‘আশা করি সরকার পাশে দাঁড়াবে।’’
জিডিপি-তে প্রায় ১২% অবদান এই শিল্পের। কর্মসংস্থানে ১০%।