প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কৃষকদের ক্ষোভের খেসারত দিতে হয়েছে। আসন্ন বাজেটে তাই কৃষকদের মন জয়ের পথ খুঁজছে মোদী সরকার। এই নিয়ে আলোচনা করতে আজ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, কৃষি অর্থনীতিবিদ, খাদ্য ও কৃষি শিল্প সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে এ দিনই কৃষক সংগঠনগুলি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফসলের দাম নিয়ে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তুলেছে।
শপথ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিএম-কিসানের নতুন কিস্তির টাকা মঞ্জুর করে তা প্রচার করেছিলেন। তার পরে মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে খরিফ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ঘোষণা করেও সরকার বিপুল দাম বাড়িয়েছে বলে প্রচার করেছে। আজ সব কৃষক সংগঠনগুলির ঐক্যমঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার দাবি, কেন্দ্র এমএসপি নিয়ে চাষিদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মিথ্যে প্রচার করে।
এমএসপি ঘোষণার পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি ছিল, এ বারও চাষের খরচের দেড় গুণের থেকে বেশি দাম দেওয়া হচ্ছে। আজ কিসান মোর্চার নেতা হান্নান মোল্লা, অভীক সাহা, বলবীর সিংহ রাজেওয়ালরা অভিযোগ তুলেছেন, ঘোষিত এমএসপি এখন চাষের খরচের প্রায় সমান। সব চাষের খরচ ধরা হলে, তার দেড় গুণের অনেক কম। তা ছাড়া ওই দামেই যে চাষিরা ফসল বেচতে পারবে, তার আইনি গ্যারান্টি নেই।
কৃষক নেতাদের অভিযোগ, মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় এসে এমএসপি ও পিএম-কিসান নিয়ে ঢাক পেটাচ্ছে। কিন্তু ভাগচাষিরা তা পান না। যাঁদের সংখ্যা মোট কৃষকের ৪০%। অথচ চাষের জিনিসের দাম বাড়ছে। লাগছে জিএসটি। ফলে চাষিদের ক্ষতি হচ্ছে। ঋণের বোঝা বাড়ছে। এই প্রেক্ষিতে ১০ জুলাই জাতীয় স্তরে বৈঠক করবে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। তার পরে নতুন আন্দোলনের ঘোষণা হবে।