উদ্বোধনের পরে। নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী পরিষেবা বাড়াতে কিছুটা বড় করা হল বাগডোগরা বিমানবন্দরের ‘সিকিউরিটি হোল্ডে’র পরিসর। বুধবার দুপুরে ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) চেয়ারম্যান অরবিন্দ সিংহ নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এতদিন একসঙ্গে ৬০০ যাত্রীকে শরীরে তল্লাশির জন্য সিকিউরিটি হোল্ড এলাকায় রাখা যেত। এ দিন থেকে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হল ৯০০। আপাতত এভাবেই যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর অর্ধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘আপাতত বেশি সংখ্যক যাত্রীকে আমরা টার্মিনালের ভিতরে বসার জায়গা দিতে পারব। নতুন টার্মিনাল না হওয়া অবধি এইভাবেই পরিসর বাড়ানো হচ্ছে।’’
বাগডোগরা বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা গত বছরই ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। করোনার জন্য বিমান পরিষেবা বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল, তা আবার চালু হয়েছে। মূলত কলকাতা, দিল্লিকেন্দ্রিক বিমানকে ঘিরে রোজ টার্মিনালে ভিড় হচ্ছে। বর্তমানে বিমানবন্দরে করোনা নিয়মবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। আগে এসেও যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিমান ধরতে না পারার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। করোনার আগেও বিমানবন্দরের শৌচালয়, বসার এলাকায় ভিড়ের জেরে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, ঘণ্টায় ৬০০-৭০০ জন যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের। সেখানে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছিল ৩-৪ হাজার যাত্রী। গত বছর তাই পুরনো টার্মিনালের সঙ্গেই নতুন করে সিকিউরিটি হোল্ড এলাকার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ছাড়া রাজ্য সরকার ১০৪ একর জমি দিয়ে দিয়েছে। সেখানে কাজের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরি হতে কমপক্ষে ২-৩ বছর সময় লাগবে। ততদিন এই টার্মিনাল ভবনকেই অদলবদল করে যাত্রীধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এর আগে ভিতর থেকে রেস্তরাঁ সরিয়ে বাইরে পাঠিয়ে আরও কিছুটা এলাকা সিকিউরিটি হোল্ডে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।