ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য রফতানি শুরু হল ভারতীয় টাকার মাধ্যমে। —ফাইল চিত্র।
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য রফতানি শুরু হল ভারতীয় টাকার মাধ্যমে। শীঘ্রই বাংলাদেশের টাকাতেও লেনদেন চালু হবে। এত দিন বাণিজ্য চলত শুধু ডলার মারফত। পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ পাঠায় টাটা মোটরস। ট্রাকে সেই সব যন্ত্রাংশ পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলে যায়। এটি-ই হল নতুন পদ্ধতিতে প্রথম রফতানি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় মুদ্রা রুপির মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি শুরু হল। ডলারেও লেনদেন হবে।’’ পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ডলারের মজুত কমেছে। এর প্রভাব পড়েছিল বাণিজ্যে। তাই দু’দেশের সরকার এক বছর ধরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, ডলারের পাশাপাশি ভারতীয় এবং বাংলাদেশি মুদ্রাতেও লেনদেন চলবে। আশা, এর ফলে তাদের মধ্যে বাণিজ্যে আরও গতি আসবে।’’
কার্তিক বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্থা বা ব্যক্তি বাংলাদেশে পণ্য পাঠালে তা বেনাপোলে ঢোকার আগে বাংলাদেশি আমদানিকারীকে সে দেশের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে পণ্যের মূল্য বাংলাদেশের মুদ্রায় জমা করতে হবে। এর পরে ব্যাঙ্ক ‘এলসি’ দিলে পণ্য দেশে ঢুকবে। সেখানকার ব্যাঙ্ক ভারতীয় ব্যাঙ্কে ভারতীয় মুদ্রায় পণ্যের মূল্য পাঠাবে। সেখান থেকে রফতানিকারী সংস্থা ভারতীয় মুদ্রায় তা তুলতে পারবে।’’ তিনি জানান ‘‘এখন বছরে পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানি হয় প্রায় ২৩ হাজার কোটির টাকার। সেই পরিমাণ এ বার আরও বাড়বে।’’
পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে-র দাবি, ‘‘ডলারের ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ চাহিদা মতো পণ্য এ দেশে থেকে নিতে পারছিল না।’’ সূত্রের খবর, দু’দেশের মুদ্রায় লেনদেনের কাজ হবে বাংলাদেশের সোনালি ব্যাঙ্ক ও ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক এবং ভারতের এসবিআই ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক মারফত। পরে, দুই দেশের আরও কিছু ব্যাঙ্ক এই প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে।