—প্রতীকী চিত্র।
মুম্বই, ৬ সেপ্টেম্বর: বাজারে আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য কিনতে গেলে এখনও দামের ছেঁকায় পকেট পুড়ছে বহু সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই শুক্রবার একটু হলেও স্বস্তি দিল মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের ‘ভাত-রুটির হার’ সমীক্ষা। দেখা গেল, অগস্টে বাড়িতে রান্নার খরচ আগের থেকে কমেছে। নিরামিষ এবং আমিষ দু’ধরনের থালিতেই সেই ছবি। যার কারণ মূলত টোম্যাটো, ভোজ্যতেল, লঙ্কা, জিরে, মুরগির মাংস ইত্যাদির দাম খানিকটা কমা। তবে তার পরেও আশঙ্কা বহাল। কারণ, রোজকার রান্নার ক্ষেত্রে প্রায় অপরিহার্য আলু ও পেঁয়াজ এখনও চড়া। গত বছরের অগস্টের তুলনায় কেজিতে সেগুলি বেড়েছে যথাক্রমে ১৩ টাকা এ ১৫ টাকা।
ক্রিসিল নিরামিষ থালিতে ভাত, রুটি, আনাজ (পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আলু), ডাল, দই ও স্যালাড ধরে রান্নার খরচের হিসাব করে। আমিষে ডালের বদলে রাখে মুরগির মাংস। সেখানে থালির খরচের অর্ধেকটাই মাংসের। সমীক্ষা বলছে, অগস্টে নিরামিষ রান্নার খরচ জুলাইয়ের তুলনায় ৪% কমেছে। ৩২.৬ টাকা থেকে নেমেছে ৩১.২ টাকায়। গত বছরের অগস্টের ৩৪ টাকার নিরিখে যা আরও কম। আমিষ পাতও জুলাইয়ের থেকে ৩% সস্তা হয়ে নেমেছে ৫৯.৩ টাকায়। গত বছর তা প্রায় ১২% বেশি ছিল।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দেশে জ্বালানি বা বাজার খরচ স্বস্তিদায়ক জায়গায় নামেনি। তাই দ্রুত তেল-গ্যাসের দাম কমানোর দাবি উঠছে। যাতে পণ্য পরিবহণের খরচ কমায় মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা নামায় ও সংসার খরচেও কিছুটা সাশ্রয় হয়। ক্রিসিলের রিপোর্ট বলছে, গত মাসে রান্নার খরচ কমার অন্যতম কারণ টোম্যাটোর দাম জুলাইয়ের তুলনায় ২৩% এবং আগের বছরের অগস্টের তুলনায় ৫১% কমে যাওয়া। শ্রাবণ মাসে দেশের বহু মানুষ আমিষ খান না বলে মুরগির মাংসও ৩% সস্তা হয়েছে। ২০২৩-এর থেকে কমেছে প্রায় ১৩%। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, টোম্যাটোর থেকেও চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ সমেত দৈনন্দিন রান্নার আনাজ সস্তা হওয়া জরুরি। একমাত্র তখনই নিশ্চিন্ত বোধ করবেন মানুষ।
সংবাদ সংস্থা