ফাইল ছবি
আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন (কোল বেড মিথেন বা সিবিএম) প্রায় তিন গুণ করার লক্ষ্য এসার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশনের (ইওজিইপিএল)। এ জন্য আরও ২০০টি কূপ খনন করবে তারা। নতুন করে লগ্নি হবে ১৫০০-২০০০ কোটি টাকা।
দীর্ঘ দিন ধরে বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ এলাকায় সিবিএম উত্তোলনে যুক্ত এসার গোষ্ঠীর সংস্থাটি। গ্যাসের উৎপাদন বেড়ে এক সময়ে দৈনিক ১ এমএমএসসিএম হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল-এর প্রস্তাবিত পাইপলাইন তৈরির কাজে দেরির জন্য এসারের উৎপাদন কমে। মঙ্গলবার সংস্থা জানিয়েছে, উর্জা গঙ্গা প্রকল্পে গেল-এর পাইপলাইনের কাজে ফের গতি আসায় তারা উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়েছিল। তাতেই দিনে ০.৮ এমএমএসসিএম সিবিএম উৎপাদন হয়েছে। সিইও পঙ্কজ কালরা জানান, শীঘ্রই ফের দিনে ১ এমএমএসসিএম উত্তোলনের মাইলফলক ছুঁতে চান।
এ পর্যন্ত রাজ্যের প্রকল্পে ৫৫০০ কোটি টাকা ঢেলেছে সংস্থা। উত্তোলিত গ্যাস গেল-এর পাইপলাইনে পাঠাচ্ছে তারা। গেল তা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের তিনটি সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে জোগান দিচ্ছে। ওই গ্যাস বিক্রি হচ্ছে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে। পাইপলাইন তৈরি হওয়ার পরে এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান বাড়লে পরিবহণের পাশপাশি রান্নার গ্যাস হিসেবে এবং শিল্পোৎপাদনের জ্বালানি হিসেবেও তা ব্যবহার হবে।
ইওজিইপিএল জানিয়েছে, শেল গ্যাস (পাথরের খাঁজে আটকে থাকা গ্যাস) উত্তোলনের লক্ষ্যে কূপ খোঁড়ার কাজ অক্টোবর-মার্চের মধ্যে হবে। প্রসঙ্গত, গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি-ও রাজ্যে শেল গ্যাসে লগ্নির কথা জানিয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।