গত বছরের মতো ৮.৫ শতাংশ হারেই সুদ এ বার। প্রতীকী চিত্র
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সুদ জমা শুরু করেছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ পাওয়া যাবে ৮.৫ শতাংশ হারে। গত ৩০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুদ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বছরে সুদের হারে কোনও বদল আসেনি। আগের আর্থিক বছরেও একই হারে সুদ পেয়েছিলেন চাকরিজীবীরা।
গত মার্চে ইপিএফও-র অছি পরিষদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফের সুদ অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য গ্রাহকেরা যে ৮.৫% হারে সুদ পেয়েছিলেন, এ বারও তা-ই পাবেন। তখনই উঠে এসেছিল আগের বছর সুদ জমা পড়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ টালবাহানার স্মৃতি। গত বছর ৫ মার্চ তার আগের অর্থবর্ষের সুদের সুপারিশ করেছিল পরিষদ। কিন্তু তাতে সায় দিতেই দীর্ঘ সময় লাগায় অর্থ মন্ত্রক। তৈরি হয়েছিল সুদ কমার আশঙ্কাও। এর পরে সেপ্টেম্বরে পরিষদের বৈঠকে নজির-বিহীন ভাবে দু’কিস্তিতে সুদ মেটানোর সিদ্ধান্ত হয়। ৮.১৫% ঋণপত্রে লগ্নির আয় থেকে। ০.৩৫% শেয়ার বাজারে ইটিএফ-এর আয় থেকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সুদ জমা পড়ে একলপ্তেই।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে মূল বেতনের ১২% টাকা এই খাতে দেন কর্মীরা। একই অঙ্কের টাকা দেন নিয়োগকারী। বিড়ি, চটের মতো কিছু শিল্পে তা ১০%। সংস্থার দেওয়া ১২% টাকার অবশ্য পুরোটা ইপিএফ খাতে জমা হয় না। এর মধ্যে ৩.৬৭% যায় পিএফ খাতে। বাকি ৮.৩৩% যায় এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস)।
পিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা জমা পড়েছে কি না, তা যেমন জানা তেমন যাচাই করা যায় সুদের টাকার তথ্য। তিনটি পদ্ধতিতে এটা জানা যায়। সবচেয়ে সহজ উপায় ০১১-২২৯০১৪০৬ নম্বরে মিসড কল দেওয়া। সেটা দিতে হবে পিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর থেকেই। মিসড কলের পরেই এসএমএস পাবেন গ্রাহক। এ ছাড়াও ৭৭৩৮২৯৯৮৯৯ নম্বরে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে (EPFOHO UAN ENG) ইউএএন এসএমএস করে পাঠানো যায়। এতেও এসএমএস পাওয়া যায়। আর সেটা বাংলা-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেও। এ ছাড়া কোনও গ্রাহক চাইলে ইপিএফও-র ওয়েবাসাইট (epfindia.gov.in) বা কেন্দ্রীয় সরকারের উমঙ্গ (Umang) অ্যাপের মাধ্যমেও পরীক্ষা করতে পারেন। এই দুই ক্ষেত্রে ইউএএন এবং ওটিপি লিখে সাবমিট করতে হবে।