কর্মী পিএফের যোগ্য কি না জানতে ব্যবস্থা

নতুন ব্যবস্থায় এখন থেকে কোনও কর্মী নিজেই পিএফ দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) তৈরি করতে এবং তা পিএফ দফতরে পাঠাতে পারবেন।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগকারী যে সব কর্মীকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনেনি, তাঁদের খুঁজে বার করতে নতুন ব্যবস্থা চালু করল প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতর। এর সাহায্যে নিয়োগকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম পিএফ দফতরে না-পাঠালেও, সেই খবর পেয়ে যাবেন পিএফ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নতুন ব্যবস্থায় এখন থেকে কোনও কর্মী নিজেই পিএফ দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) তৈরি করতে এবং তা পিএফ দফতরে পাঠাতে পারবেন। এত দিন নিয়োগকারী কর্মীর নাম পিএফ দফতরে পাঠালে তবেই তিনি ইউএএন পেতেন। কর্মী এক বার নম্বর তৈরি করে পাঠালেই পিএফ কর্তৃপক্ষ জানতে পারবেন যে, নিয়োগকারী তাঁর নাম পাঠাননি। যদি সংস্থা পিএফের আওতায় আসার যোগ্য বলে মনে হয়, তা হলে দফতরের অফিসারেরা সেখানে হাজির হবেন। তদন্ত করে দেখবেন, সংস্থা পিএফের আওতায় নেই কেন। কেনই বা সংশ্লিষ্ট কর্মীকে পিএফে আনা হয়নি, দেখা হবে তা-ও।

আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার নবেন্দু রাই বলেন, ‘‘নতুন ব্যবস্থায় দু’টি বিষয় জানা যাবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা পিএফের আওতায় আসার যোগ্য হলেও যদি নথিভুক্ত না-হয়, তা হলে তাকে পিএফের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। অনেক সময়েই দেখা যায় যে, সংস্থাটি পিএফে নথিভুক্ত। কিন্তু তার অনেক কর্মীকেই পিএফ প্রকল্পে শামিল করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তাঁদের প্রকল্পের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবে পিএফ দফতর।’’

Advertisement

আইন অনুযায়ী সংস্থায় কমপক্ষে ২০ জন কর্মী থাকলেই পিএফের আওতায় আসতে হয়। স্থায়ী, অস্থায়ী বা চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত সব কর্মীকেই পিএফ প্রকল্পে শামিল করতে হয়।

নতুন কী
• কর্মী নিজেই পিএফ দফতরের সাইটে নিজের ইউএএন তৈরি করতে পারবেন।
• তা পাঠানো যাবে পিএফ দফতরে।
• এত দিন নিয়োগকারী কর্মীর নাম দফতরে পাঠালে তবেই
ইউএএন মিলত।

সুবিধা কোথায়
• সংস্থা পিএফে আসার যোগ্য মনে হলে ব্যবস্থা নিতে পারবে পিএফ দফতর।
• সংস্থা পিএফে নথিভুক্ত থাকলেও যদি কোনও কর্মীর নাম বাদ পড়ে, তা হলে তাঁকে পিএফের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

পিএফ দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এআইইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সাহা এবং ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘পিএফ
ফাঁকি রুখতে এই ব্যবস্থা কাজে আসবে বলে আশা। তবে তা ঠিকমতো কার্যকর করতে কড়া নজরদারি জরুরি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement