প্রতীকী ছবি।
চড়া শুল্কের কারণ দেখিয়ে এখনও ভারতের বাজারে নিজেদের বৈদ্যুতিক গাড়ি আনেনি ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলা। বরং দাবি জানিয়েছে সেই হার কমানোর। কিন্তু সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের শেষের দিকেই এ দেশে পা রাখতে পারে তাঁর ব্রডব্যান্ড সংস্থা স্টারলিঙ্ক। যারা পাল্লা দেবে রিলায়্যান্স জিয়ো, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার সঙ্গে। প্রতিযোগিতায় থাকবে ভারতীর সংস্থা ওয়ানওয়েব-ও।
সম্প্রতি ভারতে স্টারলিঙ্কের কর্তা সঞ্জয় ভার্গব বলেন, পরিষেবা চালু না-হলেও ইতিমধ্যে ৫০০০টি প্রি-অর্ডার পেয়েছে স্পেস-এক্সের এই শাখা সংস্থাটি। পরের বছর ডিসেম্বরে সেই সংখ্যাটা দাঁড়াতে পারে ২ লক্ষে। তবে তার মধ্যে সরকারের সায় পাওয়া জরুরি। উল্লেখ্য, এ দেশে বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিচ্ছে স্টারলিঙ্ক। গ্রাহক পিছু জমা হিসেবে নিচ্ছে ৯৯ ডলার (প্রায় ৭২৫০ টাকা)। নেটের গতি ৫০ থেকে ১৫০ এমবিপিএস।
সঞ্জয় জানান, ইতিমধ্যে গোয়ার একটি অঞ্চলের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিশেষত ভারতের গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিতে আগ্রহী তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁরা এ দেশে পুরোদস্তুর পরিষেবা চালুর জন্য যে কোনও আবেদন করেননি, সেটাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। সেই পাইলট প্রকল্পের আবেদন দ্রুত সেরে ফেলতেই আপাতত আগ্রহী স্টারলিঙ্ক। যদিও সেমিকনডাক্টর চিপ এবং তরল অক্সিজেনের অভাবে যে সংস্থাকে যন্ত্রাংশ তৈরিতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তা মেনেছেন সঞ্জয়।
কিন্তু কোনও লাইসেন্স ছাড়াই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার নাম করে কী ভাবে সংস্থাটি গ্রাহকদের থেকে ডলারে অর্থ তুলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে এক অসরকারি সংস্থা। লাইসেন্সের আবেদন না-করেই এ ভাবে টাকা তোলা বেআইনি বলে জানিয়ে স্টারলিঙ্কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার দাবি জানিয়েছে তারা। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি সংস্থা।