ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স।
গত বৃহস্পতিবার টুইটার হাতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করেছেন ইলন মাস্ক। সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থা থেকে বিতাড়িত করেছেন সিইও পরাগ আগরওয়াল, লিগাল এগ্জ়িকিউটিভ বিজয়া গাড্ডে, সিএফও নেড সেগল এবং জেনারেল কাউন্সেল শন এডগেটকে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের খবর, এর পরের পদক্ষেপ হিসেবে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। হয়তো মঙ্গলবারের আগে তা শেষও করে ফেলতে পারেন তিনি।
প্রায় ৪৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনেছেন মাস্ক। সূত্রের খবর, এতে বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে মর্গ্যান স্ট্যানলি এবং ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা। এই ঋণদাতাদের কাছে খরচ কমানোর প্রকল্প জমা দিয়েছেন মাস্ক। তার মধ্যে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টিও রয়েছে। কত জনকে ছাঁটাই করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট জানা না গেলেও, টুইটারের প্রায় ৭৫০০ কর্মীর তিন-চতুর্থাংশ সেই তালিকায় থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পদস্থ আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কর্মী কমানো হবে প্রত্যেক বিভাগেই। সম্ভবত ১ নভেম্বরের আগেই সব চূড়ান্ত হবে। তা হলে ছাঁটাই কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে খরচ কমাতে পারবেন মাস্ক। সেই সঙ্গে সংস্থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সরিয়ে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করা, আয়ের নতুন উৎস খোঁজা এবং কনটেন্টের নিয়ম তৈরির প্রতিশ্রুতিও ঋণদাতাদের দিয়েছেন মাস্ক।
এর আগে নিয়ম বহির্ভুত পোস্টের জন্য আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। অনেকের বক্তব্য, লিগাল এগ্জ়িকিউটিভ বিজয়া গাড্ডের বড় ভূমিকা ছিল এর পিছনে। তাঁকে বহিষ্কারের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ওই সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনা হবে? মাস্ক যদিও জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যম সংস্থাটি একটি ‘কনটেন্ট মডারেশন কাউন্সিল’ তৈরি করবে। যে কোনও পোস্টের ব্যাপারে বা কোনও অ্যাকাউন্টকে ফেরানোর ব্যাপারে সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।
এ দিকে, টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিজ় স্টোন রবিবার পরাগ-সহ অন্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘পরাগ, বিজয়া, সেগলকে অনেক ধন্যবাদ তাঁদের সমষ্টিগত অবদানের জন্য। প্রত্যেকেই অসম্ভব প্রতিভাধর এবং ভাল মানুষ।’’