power ministry

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সুরাহায় দেরির ফি-তে বেড়ি

ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সুরাহা দেওয়ার পরে, এ বার বিল মেটাতে দেরির ফি-তেও এল বোঝা কমানোর দাওয়াই

Advertisement

নয়াদিল্লি

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০৫:০০
Share:

রয়টার্সের তোলা প্রতীকী ছবি।

নগদের টানাটানিতে বহু দিন ধরেই ভুগছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি। যা লকডাউনের সময় বিদ্যুতের চাহিদা কমার পরে মাত্রা ছাড়ায়। উৎপাদক সংস্থাগুলির থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিল মেটাতে না-পেরে বকেয়াও জমে পাহাড়। তাই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সুরাহা দেওয়ার পরে, এ বার বিল মেটাতে দেরির ফি-তেও এল বোঝা কমানোর দাওয়াই। তাদের বকেয়া বিল মেটাতে দেরির জন্য যে ‘লেট পেমেন্ট সারচার্জ’ (এলপিএস) দিতে হয়, শনিবার তা ১২ শতাংশে বেঁধে দিল বিদ্যুৎ মন্ত্রক। বিষয়টি কার্যকর করতে বিদ্যুৎ উৎপাদক ও সংবহন সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকেরাও উপকৃত হবে বলে দাবি কেন্দ্রের।

Advertisement

আত্মনির্ভর প্রকল্পে বণ্টন সংস্থাগুলির বকেয়া মেটাতে নগদ জোগানোর বিশেষ ঋণ প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র। তার আওতায় সমস্ত বিলেই এলপিএস বছরে ১২% বেশি নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। সাধারণত বিল নির্দিষ্ট সময়ের পরে মেটালে এলপিএস অনেক ক্ষেত্রে ১৮% পর্যন্ত হয়। এতে চাপ বাড়ে সংস্থাগুলির। বিশেষজ্ঞদের মতে, এলপিএস নির্দিষ্ট অঙ্কে বেঁধে দেওয়া হলে সেই চাপ কমবে। আর তাদের বিলের বোঝা কমায় সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরাই। কারণ বণ্টন সংস্থাগুলিকে বিদ্যুৎ কিনেই পরিষেবা দিতে হয়।

কেন্দ্রের বিশেষ প্রকল্প থেকে বণ্টন সংস্থাগুলি যাতে আরও ঋণ পেতে পারে, সম্প্রতি তার শর্ত শিথিলে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রথমে শর্ত ছিল গত বছরের আয়ের ২৫% কার্যকরী মূলধন হিসেবে ঋণ মিলবে। সেই ঋণই বেশি পাওয়ার পথ খুলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement