এ বার আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হল ইউরোপীয় কমিশন। প্রতীকী ছবি।
প্রথমে অতিমারি এবং তার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ— এই দুইয়ের জেরে গত তিন বছরে ধাক্কা খেয়েছে সারা বিশ্বের অর্থনীতি। ব্যতিক্রম নয় ইউরোপের দেশগুলিও। এই পরিস্থিতিতে এ বার আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হল ইউরোপীয় কমিশন। ইউরো অঞ্চলের ২৭টি দেশকেই এ জন্য পরিকল্পনা জমা দিতে বলেছে তারা।
আপাতত স্থির হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধীন দেশগুলি ঘাটতি এবং সরকারি ঋণ কমানোর পরিকল্পনা জমা দেবে কমিশনের কাছে। সেখানে বলা থাকবে এ জন্য সংস্কারমূলক এবং লগ্নি সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করবে তারা। লক্ষ্য, ঘাটতিকে জিডিপি-র ৩ শতাংশে এবং ঋণকে ৬০ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা। করোনাকালে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও, দেশগুলির মধ্যে আগে হওয়া আর্থিক বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত চুক্তি বহাল থাকবে।
চার বছরের জন্য পরিকল্পনা জমা দিতে হবে ওই সব দেশকে। যা মঞ্জুর করবে কমিশন এবং ইউরোপীয় অঞ্চলের অন্য দেশগুলি। কোভিড সংক্রমণ বা যুদ্ধের মতো আপৎকালীন ক্ষেত্রে ছাড় পাবে তারা। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডমব্রোভ্সকিসের মতে, ১৯৯০ সালে আর্থিক স্থিতিশীলতার নিয়ম তৈরির পর থেকে বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে ইইউ। কিন্তু বর্তমান সমস্যাগুলি আগের থেকে আলাদা। ফলে নিয়ম-কানুনেও তার থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা থাকা জরুরি। তবে জার্মানির মতে, পরিকল্পনা নিয়ে আরও আলোচনা জরুরি।