প্রতীকী ছবি।
ফিউচার-অ্যামাজ়ন চুক্তি বিতর্কের রং বদলাচ্ছে রোজই। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে এই দুই সংস্থার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, ফিউচার রিটেলের কাছে তার যাবতীয় নথি সম্প্রতি চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারা খতিয়ে দেখতে চাইছে, খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) সংক্রান্ত বিধি মেনে সেই লেনদেন হয়েছিল কি না। নথি জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিশোর বিয়ানির সংস্থাকে।
দিন দুই আগেই প্রতিযোগিতা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফিউচার গোষ্ঠীর অন্যতম সংস্থা ফিউচার রিটেলের স্বাধীন ডিরেক্টরেরা। দাবি করেছিলেন, দু’বছর আগে ফিউচার কুপন্সের অংশীদারি কেনার জন্য ফিউচারের সঙ্গে অ্যামাজ়ন যে চুক্তি করেছিল, তাতে সম্মতি পাওয়ার জন্য মিথ্যা বিবৃতি পেশ করে আমেরিকার সংস্থাটি। সে কারণে অবিলম্বে ওই চুক্তিই খারিজ করে দেওয়া হোক। তবে ওই চুক্তির নথি চেয়ে ফিউচার গোষ্ঠীর কাছে ইডির নোটিস এসেছে অক্টোবরের শেষ দিকে। এই অবস্থায় ফিউচার রিটেলের স্বাধীন ডিরেক্টরদের পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ইডি, ফিউচার এবং অ্যামাজ়ন, তিন পক্ষের কেউই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্সের (আরআরভিএল) কাছে নিজেদের খুচরো, পাইকারি, গুদাম ও পণ্য পরিবহণের ব্যবসা বিক্রি করতে চুক্তি করেছিল ফিউচার রিটেল। প্রস্তাবিত লেনদেনের অঙ্ক ২৪,৭৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই চুক্তিতে আপত্তি তুলে সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের দ্বারস্থ হয় অ্যামাজ়ন। তাদের যুক্তি, ফিউচার গোষ্ঠীর অনথিভুক্ত সংস্থা ফিউচার কুপন্সে তাদের অংশীদারি রয়েছে। সেখানে তারা ২০ কোটি ডলার ঢেলেছিল। তার মাধ্যমে শেয়ার রয়েছে ফিউচার রিটেলেও। অ্যামাজ়নের আবেদনের ভিত্তিতে ওই চুক্তি কার্যকরের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ দেয় সালিশি আদালত।
এখন বিতর্কের কেন্দ্রে ফিউচার-অ্যামাজ়নের সেই চুক্তিই। সূত্রের খবর, গত ২৮ অক্টোবর ফিউচার রিটেলকে দু’পাতার নোটিস পাঠিয়ে ই-মেল-সহ অ্যামাজ়নের সঙ্গে তাদের লেনদেন হওয়া যাবতীয় তথ্যের নথি চেয়েছে ইডি। দু’পক্ষের মামলার সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত নথি আদালতে জমা পড়েছে তা-ও চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।