রবিবার দিল্লিতে রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি: পিটিআই।
দ্বিতীয় দফায় দিল্লির তখ্তে বসার পরে ভারতের অর্থনীতিকে পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ কোটি ডলার করার স্বপ্ন ফেরি করতে শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থনীতির ঝিমুনিতে গত অর্থবর্ষে নাগাড়ে বৃদ্ধির হার তলিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও। আর করোনার দাপটে আরও বিধ্বস্ত হয়ে জিডিপি যখন কমেছে, তখন মোবাইল-সহ বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদন নিয়ে দেশকে স্বপ্ন দেখালেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। শুক্রবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের মঞ্চে তাঁর বার্তা, ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থনীতি ৫ লক্ষ কোটি ডলার ছুঁলে তার ১ লক্ষ কোটির অংশীদারি থাকবে ওই পণ্যগুলিরই।
যদিও শিল্পের একাংশ বলছে, আগে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর কথা ভাবাই ভাল। করোনা আবহে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েছে ঠিকই। মোবাইলের বিক্রিও হয়তো বেড়েছে। কিন্তু সরকার মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে মোবাইল কারখানার জন্য লগ্নি টানার ডাক দিলেও, লাভ হয়নি। উল্টে কর্নাটকে উইসট্রন যে কারখানায় অ্যাপলের আই-ফোন তৈরি করে, সম্প্রতি সেখানে উৎপাদনে ধাক্কা লেগেছে কর্মী বিক্ষোভের জেরে।
অভিযোগ, অনেকে ঠিক মতো বেতনই পাচ্ছেন না। অনেকের অনুমান, ২০২২-এর আগে বহু ব্যবসার ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। লাগতে পারে তিন-চার বছর। বাজারে চাহিদা না-বাড়লে লগ্নিও আসবে না।
প্রসাদের দাবি
• ২০২৫ সালে ভারত যখন ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে, তখন তার মধ্যে মোবাইল ফোন-সহ বৈদ্যুতিন পণ্যের ভাগ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি।
• পাঁচ বছরে দেশে ১০০ কোটি ফোন, ৫ কোটি টিভি, ৫ কোটি ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এবং হার্ডওয়্যার যন্ত্র তৈরি হবে।
• ২টি থেকে দেশে এখন মোবাইল তৈরির কারখানা বেড়ে হয়েছে ২৫০টি।
• কর্মসংস্থান হয়েছে ৬ লক্ষ।
• আগামী দিনে বিশ্বে মোবাইল তৈরির অন্যতম বড় কেন্দ্র হবে ভারত।
• উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা প্রকল্পে ৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ভারতে এসেছে। ভারতীয় পাঁচটি সংস্থা আরও উন্নত হবে
প্রকল্পটির মাধ্যমে।
• আশা, সংস্থাগুলি মিলে ৫
বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার মোবাইল ও সরঞ্জাম তৈরি করবে। রফতানি হবে এর মধ্যে ৭ লক্ষ কোটির।
• কর্মসংস্থান হবে ৯ লক্ষ।
প্রসাদের অবশ্য দাবি, দেশে মোবাইল তৈরির কারখানা দু’টি থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫০টি। কেন্দ্র যে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা এনেছে, তাতে সাড়া মিলেছে। বিদেশি সংস্থা তার টানে ভারতে এসেছে। দেশীয় সংস্থাও উপকৃত হচ্ছে। আর তার হাত ধরেই ভারত বিশ্বে মোবাইল-সহ বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।