করোনা আতঙ্কে ধস ওয়াল স্ট্রিটে। ছবি: রয়টার্স
আজ এশিয়ায় তাণ্ডব, কাল ইউরোপে চোখ রাঙানি। ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে একের পর এক দেশে থাবা বসাচ্ছে করোনাভাইরাস। আর তার ছায়া ঘনাচ্ছে বিশ্বের অর্থনীতিতেও। সোমবার সেই ঘটনারই সাক্ষী হল আমেরিকা। ওই দিন জোরাল ধাক্কা খেয়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার। আর তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত তিন দশকে অর্থনীতিতে এমন ধস নজিরবিহীন। পরিস্থিতি দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
এ দিন ডাও সূচক নেমে যায় ১২.৯ শতাংশ। ধাক্কা লাগে এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকেও। তা-ও ১২ শতাংশ নেমে যায়। একই অবস্থা হয় ন্যাসডাকেরও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহে লগ্নিকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, করোনাভাইরাসের জেরে মন্দার গ্রাসে চলে যেতে পারে অর্থনীতি। তার জেরেই ধাক্কা খাচ্ছে শেয়ার সূচক। পরিস্থিতি যে আর্থিক মন্দার দিকে এগোতে পারে তা বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
পরিস্থিতি যে কঠিন তা মানছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, ‘‘এই ভাইরাস থেকে আমরা মুক্তি পেলেই বাজার অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে।’’ সোমবার মার্কিন অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র শেয়ার বাজারে এমন হাহাকারের কারণ হিসাবে ফেডারেল ব্যাঙ্কের সুদের হার কমানোকেই কারণ হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। ওই দিন অবশ্য অনেক সংস্থার ক্ষেত্রেই এক যাত্রায় পৃথক ফল ফলেছে। ক্লোরক্স-সহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সামগ্রী প্রস্তুতকারী কিছু সংস্থার শেয়ার কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার? পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু আমেরিকায়