Pension

পিএফের বেশি পেনশন, প্রকল্প শ্লথ কর্মীর অভাবে

বেশি পেনশনের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৩০ জুন। তার পরে গড়িয়েছে এক মাসের বেশি সময়। তা-ও রাজ্যের মাত্র সিকি ভাগ আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৩ ০৪:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পিএফের আওতায় বেশি পেনশন পাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন প্রায় ৩৬,৭০০ জন। পিএফ দফতর সূত্রের খবর, এর মধ্যে খতিয়ে দেখা (স্ক্রুটিনি) হয়েছে মাত্র ৮৩০০টি আবেদন। আপাতত মঞ্জুর হয়েছে ১৭০০ জনের বেশি পেনশনের আর্জি। তবে তা পেতে হলে তাঁদের মোট ৯৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বেশি পেনশনের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৩০ জুন। তার পরে গড়িয়েছে এক মাসের বেশি সময়। তা-ও রাজ্যের মাত্র সিকি ভাগ আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পিএফ দফতর সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে বছর ঘুরে যেতে পারে। এত সময় লাগার জন্য দায়ী প্রধানত কর্মীর অভাব। বহু কালের পুরনো ডিজিটাল ব্যবস্থাও কাজের গতি শ্লথ হওয়ার অন্যতম কারণ। এক আধিকারিকের কথায়, “কবে সব আবেদন খতিয়ে দেখা সম্পূর্ণ হবে বলা যাচ্ছে না। বছর ঘুরে যেতে পারে।’’

জানা গিয়েছে, ৪০% কম কর্মী নিয়ে চলছে পিএফ দফতরের কাজ। বেশি পেনশনের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা-সহ সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগুলি সারতে বিশেষ সেল তৈরি হয়েছে ঠিকই। তবে সেখানে যত কর্মী বরাদ্দ হয়েছে, তাতে কাজের গতি বাড়ছে না। এক আধিকারিক বলেন, সেলের কর্মী বাড়ানো দরকার। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

মাত্র ১৭০০ জনের থেকে মোট ১০০ কোটির কাছাকাছি টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়েও কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। অনেকের বক্তব্য, পেনশন হাতে না আসা পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটবে না। তবে সূত্রের খবর, সব আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার পরে আরও বেশি আর্জি মঞ্জুর হলে বেশি পেনশন দেওয়ার জন্য মোট দাবি করা টাকার অঙ্ক এর কয়েক গুণ বাড়বে।

সূত্র জানিয়েছে, বর্ধিত পেনশন পেতে কত টাকা জমা দিতে হবে, তা জানিয়ে ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হওয়া আবেদনকারীদের চিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। অবসরপ্রাপ্ত আবেদনকারীরা টাকা দিতে রাজি হলে তাঁদের জন্য বেশি পেনশনের হিসাব শুরু হবে। আর চাকরিরত আবেদনকারীদের সম্মতি পাওয়া গেলে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা পেনশন তহবিলে স্থানান্তিরত হবে। যাঁরা যোগ্য অথচ আবেদনপত্রে ভুল রয়েছে, তাঁদের কাছে চিঠি গিয়েছে ভুল শুধরে আবেদন করার জন্য।

পিএফ পাওয়ার জন্য বেতনের ঊর্ধ্বসীমা ১৫০০০ টাকা (আগে ছিল ৫০০০ টাকা এবং ৬৫০০ টাকা)। ওই সীমা পর্যন্তই কর্মীর পিএফ খাতে নিয়োগকারী সংস্থার দেয় বেতনের মোট ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩% টাকা পেনশন তহবিলে জমা হয়। বেতনের ১২% কর্মীকেও জমা দিতে হয়, তবে পুরোটাই পিএফ খাতে। বেশ কিছু কর্মী এক সময় চাকরিতে থাকাকালীন ওই ঊর্ধ্বসীমা ছাড়িয়ে তাঁদের বেতনের পুরো টাকার উপর ১২% পিএফ কাটিয়েছেন। তাঁরাই পরে পুরো বেতনের উপর পেনশন দাবি করে আদালতে যান। আদালত শর্তসাপেক্ষে সেই দাবি পূরণের নির্দেশ দেয়। এখন তাঁদের মধ্যে যাঁরা বেশি পেনশন পেতে চান তাঁদেরই পেনশন তহবিলে বাড়তি টাকা জমা দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement