—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশ অশান্ত হওয়ায় ক’দিন ধরে বনগাঁর পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে সীমান্ত-বাণিজ্য বন্ধ। ফলে, ও দেশ থেকে পাবদা মাছ আসছে না। ইলিশের অবস্থা আরও ‘খারাপ’। ২০১২ থেকে বঙ্গে ইলিশের রফতানি কার্যত বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর ধরে ‘পুজো উপহার’ হিসাবে কিছু আসত। এ বার তা-ও মিলবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ী আমদানিকারীরা।
তাঁরা জানান, দেশে জোগান বাড়িয়ে দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তে রাখার কারণ দেখিয়ে ২০০৭ সালে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে তা আংশিক প্রত্যাহার করে ও মাপ অনুযায়ী ইলিশের রফতানি দর বাঁধে। কিন্তু দামবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২০১২-র ৩১ জুলাই ফের রফতানিতে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক নিষেধাজ্ঞা চাপায় ঢাকা। তা আর ওঠেনি। ২০১৯ থেকে দুর্গাপুজোর আগে কয়েক টন রফতানিতে সায় দিচ্ছিল হাসিনার সরকার। সেই সরকারই আর নেই!
এ রাজ্যে মাছ আমদানিকারীদের সংস্থার সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশ শান্ত না হলে বলতে পারছি না, তারা ইলিশ রফতানির অনুমতি দেবে কি না! এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।’’ তিনি জানান, ও পার বাংলা থেকে রোজ চার লরি (১৫-২০ টন) পাবদা আসছিল। কিন্তু পাঁচ দিন ধরে তা-ও বন্ধ। তবে পেট্রোপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর দাবি, পেট্রোপোল সংলগ্ন নো-ম্যানস ল্যান্ডে দু’দেশের কর্তাদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক হয়েছে। আজ থেকে আমদানি- রফতানি চালু হবে।