পদক্ষেপে গতি ফেরার আশা

অবাক করেছে ৫% বৃদ্ধি, দাবি শক্তির

সোমবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নরের দাবি, অর্থনীতির সঙ্কট আঁচ করেই পর পর ঋণনীতিতে সুদ কমিয়েছেন। কমানো হয়েছে বৃদ্ধির পূর্বাভাসও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩০
Share:

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।—ছবি পিটিআই।

বৃদ্ধির গতি গত কয়েকটি ত্রৈমাসিক ধরে কমছে ঠিকই। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সেই হার এক ধাক্কায় ৫ শতাংশে নেমে আসাটা ‘বিস্ময়কর’ বলে মনে করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।

Advertisement

সোমবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নরের দাবি, অর্থনীতির সঙ্কট আঁচ করেই পর পর ঋণনীতিতে সুদ কমিয়েছেন। কমানো হয়েছে বৃদ্ধির পূর্বাভাসও। শেষ ঋণনীতিতে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ৫.৮% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। অন্যান্য সমীক্ষাতেও তা ৫.৫ শতাংশের উপরে থাকবে বলেই ভাবা হয়েছিল। ফলে তা এক ধাক্কায় ৫ শতাংশে নামাটা বিস্ময়ের। আন্তর্জাতিকের পাশাপাশি কিছু ভারতের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যাও বৃদ্ধি কমার পিছনে কাজ করেছে বলে এ দিন জানিয়েছেন শক্তিকান্ত। তবে একই সঙ্গে গভর্নরের আশ্বাস, আগামী দিনে ঠিকমতো পদক্ষেপ করলে বৃদ্ধির চাকায় গতি ফিরবে।

শক্তিকান্তের মতে, কেন্দ্র ইতিমধ্যে অর্থনীতির জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী দিনে কৃষি বিপণনের মতো ক্ষেত্রে যা বজায় থাকবে বলে আশা। উল্লেখ্য, এ দিনই কৃষিপণ্য বাজার কমিটির (এপিএমসি) আর্জি মেনে তাদের ১ কোটি টাকার বেশি নগদ লেনদেনে ২% উৎস কর না-কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের কাছে ফসলের দাম দ্রুত পৌঁছে দেওয়াই যার লক্ষ্য।

Advertisement

গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা চারটি ঋণনীতিতে সুদ কমিয়েছেন শক্তিকান্ত। বলেছেন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার কথা। এ দিনও সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত মিলছিল। যে কারণে সুদ কমানো হয়। তার পরেও বৃদ্ধিতে ধাক্কা লেগেছে। তাতে গতি আনাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্ক ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রের নীতি নির্ধারক এবং বেসরকারি শিল্পকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে তাঁর দাবি।

এ দিন বৃদ্ধির পূর্বাভাসের পদ্ধতি ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন দাস। তাঁর দাবি, প্রায় দেড় বছরে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে পূর্বাভাসকে বাস্তবের কাছাকাছি আনা গিয়েছে। এ বার বৃদ্ধিতেও সেই একই পথে হাঁটতে চায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

এ দিন অবশ্য অক্টোবরের ঋণনীতিতে সুদ কমানো হবে কি না, তা নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি গভর্নর। শুধু বলেছেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া

হবে। একই সঙ্গে তাঁর মতে, বৃদ্ধিতে কবে গতি ফিরবে, তা এখনই বলা মুশকিল। যেমন, সৌদি আরবের তেল সঙ্কট অপ্রত্যাশিত। অনিশ্চয়তা রয়েছে শুল্ক-যুদ্ধ নিয়েও। সব কিছু দেখেই শীর্ষ ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেবে বলে তাঁর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement