—প্রতীকী চিত্র।
এসে গিয়েছে আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন। কত তারিখ পর্যন্ত জরিমানা ছা়ড়াই জমা দেওয়া যাবে আয়কর রিটার্ন?
আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। এই ধরনের আয়ের উপর প্রদত্ত করের তথ্য আয়কর বিভাগে জানানো হয়। পরবর্তীকালে এটি আয়কর বিভাগ থেকে ‘লস ক্যারি-ফরওয়ার্ড’ এবং ‘রিফান্ড ক্লেম’ করার অনুমতি দেয়। আয়ের বিভিন্ন পর্যায় এবং প্রকৃতি অনুয়ায়ী রিটার্ন দাখিলের বিভিন্ন ফর্ম থাকে। এই ফর্মগুলি https://www.incometax.gov.in/iec/foportal/ থেকে ডাউনলোড করতে হয়। করদাতাদের এটা মাথায় রাখতে হবে তাঁরা যেন আইটিআর ফর্মটি সঠিক ভাবে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পূরণ করেন। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত।
২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আইটিআর ফর্ম অনলাইন, অফলাইনে পাওয়াও যাচ্ছে। কেউ যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আইটিআর ফাইল করতে ব্যর্থ হন, তা হলে আয়কর বিভাগ মোটা টাকা জরিমানা করতে পারে।
বেতনভোগী কর্মচারী আর করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ২০২৩ এর ৩১ জুলাই। এখানে সেই অ্যাকাউন্টধারীদের বিষয়ে বলা হচ্ছে, যাঁদের অ্যাকাউন্টগুলি অডিট করার প্রয়োজন নেই। এই তারিখ পর্যন্ত, করদাতারা অনলাইন বা অফলাইনে আইটিআর ফাইল করতে পারেন। আইটিআর ফর্ম প্রতিটি করদাতার জন্য তার আয় অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে কী হবে?
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি আইটিআর ফাইন না করা হয় তা হলে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। পাশাপাশি আয়কর বিভাগের তরফে নোটিসও জারি করা হতে পারে। কেন নির্ধারিত সময় আয়কর রিটার্ন ফাইল জমা দেওয়া হয়নি তার কারণও জানতে চাইতে পারে আয়কর বিভাগ। এমনকি দেরিতে আইটিআর ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে করদাতারা ভবিষ্যতের বছরগুলিতে সেট অফের জন্য কিছুটা ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন। দেরিতে আইটিআর ফাইল করতে হলে নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিতে পারবেন না আয়করদাতারা। বর্তমানে অতি সহজ ভাবেই যে কোনও আয়করদাতা নিজে থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।