—ফাইল চিত্র।
চিন ও আমেরিকার মধ্যে শুল্ক-যুদ্ধ চলছে প্রায় ১৬ মাস ধরে। তার রফাসূত্র খুঁজতে দু’পক্ষের মধ্যে বহু বার বৈঠক হলেও, এখনও সমাধান মেলেনি। কিন্তু এ বার প্রাথমিক চুক্তি নিয়ে প্রায় একই সঙ্গে ইতিবাচক মন্তব্য এল দু’দেশের প্রধানের কাছ থেকে।
দীর্ঘদিন পরে বাণিজ্য-যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলে সম্প্রতি চুক্তি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। আর তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য, চিনের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা অনেকটাই জোরালো হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা আদৌ কখন হবে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা মেলেনি কোনও পক্ষ থেকেই।
চিনা মোবাইল নির্মাতা হুয়েইকে কালো তালিকাভুক্ত করা থেকে শুরু করে মার্কিন সংস্থাগুলির চিনে ব্যবসা— বাণিজ্য-যুদ্ধ চলার মধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি হংকংয়ে বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বেজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক।
এই পরিস্থিতিতে শি জানিয়েছেন, বাণিজ্য-যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে প্রাথমিক চুক্তি করার জন্য চিন সব রকম চেষ্টা করছে। পারস্পরিক চাহিদা ও সমতা বজায় রেখেই প্রথম পর্যায়ের চুক্তি করতে চায়। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, তাঁরা বাণিজ্য-যুদ্ধ নিয়ে ভীত নন। যখন প্রয়োজন হবে, তখনই সেই লড়াই চালাতে বেজিং প্রস্তুত। শি-র কথায়, চিন শুল্ক-যুদ্ধ শুরু করেনি। তাঁরা চান না যে, শুল্ক-যুদ্ধ হোক।
চিনের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরেই ট্রাম্পের দাবি, চিনের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। তবে তাঁর মতে, চিন ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বহু সুবিধা পেয়েছে। ফলে চিনা প্রেসিডেন্টের সমতা বজায় রাখার কথায় তিনি খুব একটা খুশি নন। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমি প্রেসিডেন্ট শি-কে বলেছি, এটা কখনওই সমান চুক্তি হতে পারে না। আমরা (আমেরিকা) মাটি থেকে শুরু করছি এবং আপনারা এখনই ছাদে উঠে
বসে রয়েছেন।’’ এই অবস্থায় ২০১৯ সালের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। শনিবারই বাণিজ্য, হংকংয়ের মতো নানা বিষয়ে আমেরিকাকে তোপ দেগেছে চিন। এই অবস্থায় কত দিনে শুল্ক-যুদ্ধের সমাধান বেরোয়, সে দিকেই
তাকিয়ে তাঁরা।