Business

ক্রেতা টানতে ছাড়ই অস্ত্র রেস্তরাঁর

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভয় যখন স্বাস্থ্য নিয়ে, তখন আর্থিক সুবিধা কতটা কাজে দেবে? মানুষই বা রেস্তরাঁয় যেতে ভরসা পাবেন কী করে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউন ওঠার পরে সরকারি নিয়ম মেনে ধাপে ধাপে হোটেল-রেস্তরাঁর দরজা খুলেছে অতিথিদের জন্য। কিন্তু ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ও নেটে অর্ডার দিলে বাড়িতেই খাবার চলে আসায় তাদের ব্যবসা এখনও কার্যত তলানিতে। কাজ খুইয়েছেন বহু কর্মী। এই পরিস্থিতিতে ক্রেতা টানতে আগামী এক মাস খাবার ও পানীয়ের (মদ ছাড়া) বিলে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ছাড়ের কৌশল নিল হোটেল অ্যান্ড রেস্টোর্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। সোমবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ও উত্তর পূর্বের ১২৫টি হোটেল ও রেস্তরাঁ তাতে যোগ দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সংগঠন সদস্য ও বাইরের পাঁচ তারা, ছোট হোটেল ও রেস্তরাঁ।

Advertisement

করোনার জন্য হোটেল ও রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার আসন সংখ্যা কমায় ব্যবসার সুযোগ কমেছে প্রায় অর্ধেক। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার জানান, তার পরেও ৩০-৪০% বেশি ক্রেতার ভিড় হচ্ছে না। শুধু করোনা নয়, অনলাইন পরিষেবাও তাঁদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে বলে মানছেন তিনি। তাঁর ও সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবর্ণ বসুর দাবি, হোটেল বা রেস্তরাঁয় খাওয়ার উষ্ণতা ও আমেজের বিকল্প নেট পরিষেবা নয়। তাই ‘ডাইন আউট টু হেল্প আউট’ পরিকল্পনায় সোম থেকে বৃহস্পতিবার ন্যূনতম অঙ্কের বেশি বিলে ২০% ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। তবে পুজোর ক’দিন এই ছাড় মিলবে না।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভয় যখন স্বাস্থ্য নিয়ে, তখন আর্থিক সুবিধা কতটা কাজে দেবে? মানুষই বা রেস্তরাঁয় যেতে ভরসা পাবেন কী করে? সংগঠনের কর্তাদের দাবি, রান্না থেকে পরিবেশন, সবই নিয়ম মেনে হচ্ছে। সংক্রমণ আটকানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। ছাড় পেলে অনেকেই সেখানে যেতে আগ্রহী হবেন। আর এ সব দেখে বাইরে খাওয়ার ভরসাও পাবেন। এতে অন্তত ব্যবসা চালানোর পুঁজি হাতে আসবে। সুদেশের কথায়, ‘‘বহু হোটেল-রেস্তরাঁ দেউলিয়া হওয়ার মুখে। এ ভাবে আস্থা বাড়িয়ে চাকা ঘোরানোর চেষ্টা করছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement