—প্রতীকী চিত্র।
বেসরকারি সংস্থায় বেশি বেতনের উচ্চপদস্থ কর্মীদের বহু ক্ষেত্রে বসবাসের জন্য বাড়ি বা ফ্ল্যাট দেয় নিয়োগকারী। ওই বাসস্থানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে তার উপরে আয়কর মেটাতে হয়। সেই করের হিসাব করতে মূল্যায়নের টাকা কর্মীর আয় হিসেবে বেতনের সঙ্গে যোগ করে তাঁর কর হিসাব করা হয়। এ বার মূল্যায়নের সেই মাপকাঠিই বদলাল প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নতুন নিয়মে কর্মীদের আয়কর খাতে কম টাকা গুনতে হবে। ফলে তাঁরা আগের থেকে বেশি টাকা হাতে পাবেন। কিন্তু এতে সরকারের রাজস্ব কমতে পারে। আরও মাথাচাড়া দিতে পারে বেশি ও কম বেতনের কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য।
নিয়ম অনুসারে শহরের জনসংখ্যার ভিত্তিতে বেতনের নির্দিষ্ট হারে বাড়ির মূল্যায়ন হয়। বিজ্ঞপ্তি বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের জনসুমারি অনুযায়ী শহরের জনসংখ্যা ৪০ লক্ষের বেশি হলে ওই হার হবে ১০%। এখন ২০০১ সালের জনসুমারি অনুসারে ২৫ লক্ষের বেশি হলে ১৫% কর বসে। আর ১৫ লক্ষের বেশি কিন্তু ৪০ লক্ষের কম জনসংখ্যার শহরে নতুন হার হচ্ছে ৭.৫%। এখন ১০ লক্ষের বেশি কিন্তু ২৫ লক্ষের কমের ক্ষেত্রে ১০% কর চাপে। ১৫ লক্ষের কমের ক্ষেত্রে কর হবে ৫%। এখন ১০ লক্ষের নীচে কর ৭.৫%।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নতুন নিয়মে বেতনের করযোগ্য অংশ কমবে। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আয়কর কম দিতে হবে। হাতে বেশি টাকা আসবে। তবে অন্য অংশ বলছেন, বেশি আয়ের উচ্চপদস্থ কর্মীরাই সাধারণত এই সুবিধা পান। ফলে তাঁদের সঙ্গে নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্য বাড়বে। কমবে সরকারের আয়ও।