—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে আমানতকারীদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা টাকা ফেরত নিশ্চিত করে ডিপোজ়িট ইনশিয়োরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)। এ বার গ্রাহক পরিষেবা আরও বাড়াতে ‘দাবি সূচক’ নামে একটি অনলাইন পরিষেবা চালু করল তারা। এর মাধ্যমে ডিআইসিজিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যাঙ্কের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর টাইপ করে টাকা ফেরতের দাবি কোন অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে পারবেন আমানতকারীরা। আপাতত যে সমস্ত ব্যাঙ্ক সরাসরি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিধির আওতায় রয়েছে, তাদের আমানতকারীদের জন্য এই পরিষেবা চালু হয়েছে।
ডিআইসিজিসি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের একটি শাখা সংস্থা। ভারতে ব্যবসা করা সমস্ত ব্যাঙ্ক এই সংস্থায় নথিভুক্ত। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৪০টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং ১৮৫৭টি সমবায় ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই সমস্ত ব্যাঙ্কের সমস্ত ধরনের আমানতকারীর পুঁজি (সংস্থা বাদে) ডিআইসিজিসির মাধ্যমে বিমাকৃত থাকে। তার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে প্রিমিয়াম দিতে হয়। ১৯৬২ সালে এই ব্যবস্থা চালুর পর থেকে ছ’বার বিমার কভারেজ বেড়েছে। ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তা পৌঁছেছে ৫ লক্ষ টাকায়। অর্থাৎ, কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে প্রত্যেক গ্রাহকের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত নিশ্চিত করে ডিআইসিজিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আমানতকারীদের ১৪৩২ কোটি টাকার দাবি মিটিয়েছে তারা। প্রিমিয়াম পেয়েছে ২৩,৮৭৯ কোটি।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, এখন সারা দেশে ৯৭.৮% ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত আমানত পুরোপুরি সুরক্ষিত। ২.২% অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা সুরক্ষিত ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।