Residential Flats

চাহিদা বৃদ্ধি ফ্ল্যাটের, ধাক্কা বাণিজ্যিকে

গৃহঋণের ক্ষেত্রে যেহেতু মানুষের প্রবণতা থাকে ধার আগে শোধ করে দেওয়ার, তাই তা অন্যান্য ঋণের তুলনায় সুরক্ষিত। অনুৎপাদক সম্পদও এতে কম হয়। ফলে ব্যাঙ্কগুলিও আগ্রহ দেখায় ধার দেওয়ায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:১৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আবাসন ক্ষেত্রের চাহিদা বৃদ্ধির কথা উঠে এসেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। যা বলেছে, ২০১২ সালের ৮.৬ শতাংশের তুলনায় দেশে বসবাসের জন্য কেনা বাড়ি-ফ্ল্যাটের ঋণের অনুপাত দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১৪.২%। চড়া সুদের হারের মধ্যেও জানুয়ারি-মার্চে আবাসনের বিক্রি বেড়েছে ২১.৬%। মাথা তুলেছে নতুন প্রকল্পের সংখ্যাও। যা ক্রেতা চাহিদারই প্রতিফলন। তবে অফিসের মতো বাণিজ্যিক ভবনের হাল নিয়ে আশা দেখছে না শীর্ষ ব্যাঙ্ক।জানাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে ঋণের অনুপাত২%-২.৯%। অফিসের চাহিদা যে কম, তা বলছে আবাসন উপদেষ্টা কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ডও। তাদের তথ্য অনুসারে, এপ্রিল-জুনে দেশের আটটি বড় শহরে অফিসের জায়গার লিজ় কমেছে ২২%। মূলত শিল্পের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সতর্কভাবে পা ফেলাই এর জন্য দায়ী।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, গৃহঋণের ক্ষেত্রে যেহেতু মানুষের প্রবণতা থাকে ধার আগে শোধ করে দেওয়ার, তাই তা অন্যান্য ঋণের তুলনায় সুরক্ষিত। অনুৎপাদক সম্পদও এতে কম হয়। ফলে ব্যাঙ্কগুলিও আগ্রহ দেখায় ধার দেওয়ায়। সেই ছবিই উঠে এসেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। তার উপরে রেরা আইন চালু হওয়া, করোনার মতো নানা কারণে সুদ বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাড়ির চহিদা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে তাদের ঋণও। তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে দোলাচল-সহ নানা কারণে সংস্থাগুলি ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। ফলে তাদের অফিসের চাহিদা সে ভাবে মাথা তুলছে না, বাড়ছে না ঋণও।

এ দিকে, মার্চ ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্ক শিল্পে সুদ বাবদ আয় ২৯.৫% বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেয়ার রেটিংস। আমানতে সুদ বাড়ায় তাদের যে অর্থ বেরোত, ২০০০ টাকার নোট তোলায় তা কিছুটা পুষিয়ে যাবে বলেও ধারণা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement