—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেও বিশ্ব অর্থনীতির দোলাচল নিয়ে সতর্ক করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে জানাল, আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে অনিশ্চয়তার মধ্যেও ভারত বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুত এগোচ্ছে। আরবিআইয়ের মতে, বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে ঋণনীতির ভারসাম্য বজায় রাখা, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা তৈরি করা এবং বৃদ্ধিতে জোর দেওয়াই বিশ্বের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির পাখির চোখ। এ জন্য ক্রেডিট কার্ডে অনাদায়ি ঋণের মতো ঝুঁকি দ্রুত চিহ্নিত করা ও অর্থনীতির ভাল সময়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলে মত তাদের।
করোনা, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা,চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে দ্রুত অনেকটা সুদ বৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশে ব্যাঙ্কিং সমস্যা বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা বাড়িয়েছে। বুধবার মূল্যায়ন সস্থা এসঅ্যান্ডপি-ও বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক করে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতের গড় বৃদ্ধির হার ৬.৭% দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে।
আর স্থিতিশীলতা রিপোর্টের মুখবন্ধে শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে, ক’মাস আগে আমেরিকা এবং সুইৎজ়ারল্যান্ডে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পতনে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। তবে এর মধ্যেই ভারতে উল্টো পথে হেঁটে স্থিতিশীল হচ্ছে অর্থনীতি। দেশের আর্থিক ব্যবস্থা সমস্যা মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত, যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্কে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধিতে। যেখানে কমেছে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ), রয়েছে যথেষ্ট পুঁজিও।
বিশেষ করে ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেট ক্ষেত্র, দুইয়েরই হিসাবের খাতা মজবুত। তা বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে দাবি দাসের। রিপোর্ট বলছে, মার্চে ব্যাঙ্কিং শিল্পের মোট এনপিএ ছিল ৩.৯%। এক দশকে সর্বনিম্ন। আর নিট হিসাবে ১%। যা শেষ ছিল ২০১১ সালে। আর্থিক হাল আগামী দিনে আরও উন্নত হবে বলে আশা।
তবে আরবিআই বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেয়ে মুনাফা বেশি বেড়েছে। সেগুলিতে ক্রেডিট কার্ডের ঋণে এনপিএ হয়েছে ১৮%। বেড়েছে মোট অনুৎপাদক সম্পদের নিরিখে ঋণ মোছাও। গত অর্থবর্ষ শেষে পৌঁছেছে ২৮.৫ শতাংশে। মূলত বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এই ঘটনা বেশি দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও মোট এনপিএ-র সাপেক্ষে মার্চে প্রথম সারির ১০০টি ঋণ অ্যাকাউন্টের ভাগ হয়েছে ১.৬%। এক বছর আগে ছিল ৬.৮%। তবে এত ভাল খবরের মধ্যেও অস্থির বিশ্ব অর্থনীতির দ্রুত ঝুঁকি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।