—প্রতীকী চিত্র।
সেপ্টেম্বরে অন্যান্য জ্বালানির বিক্রি বাড়লেও কমল ডিজ়েলের চাহিদা। যদিও অগস্টের তুলনায় তা বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের প্রথমার্ধে দেশের সব চেয়ে বেশি ব্যবহৃত জ্বালানিটির চাহিদা নেমেছিল ৫ শতাংশের বেশি। পরের অর্ধে বৃষ্টি কিছুটা কমায় তা মাথা তোলে। ফলে সব মিলিয়ে মাসের হিসাবে বিক্রি কমেছে ৩%। প্রসঙ্গত, বরাবরই বর্ষায় কৃষিকাজ কমায় ট্রাক্টর, জেনারেটরের মতো যন্ত্র কম চলে। ফলে দেশে ডিজ়েলের চাহিদাও নেমে আসে। তার উপরে সাধারণত বেশিরভাগ গাড়িই ডিজ়েলচালিত। বৃষ্টিতে তার চলাচল কমে। শিল্পোৎপাদনও কিছুটা শ্লথ হওয়ায় প্রভাব পড়ে ডিজ়েলের বিক্রিতে।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, বছরের হিসাবে গত মাসে বেড়েছে পেট্রলের বিক্রি। ৫.৪% উঠে তা পৌঁছেছে ২৮ লক্ষ টনে। তার উপরে সিলিন্ডারের চাহিদা ৭.৩% বেড়েছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়ায় বেশি বিমান চালাতে হওয়ায় বিমান জ্বালানির বিক্রি মাথা তুলেছে ৭.৫%। উল্লেখ্য, অগস্টের শেষে এক ধাক্কায় গৃহস্থের রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমিয়েছিল কেন্দ্র।
করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার ইঙ্গিতও দিচ্ছে বিক্রির পরিসংখ্যান। তথ্য বলছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের চেয়ে গত মাসে সবক’টি জ্বালানির বিক্রিই বেড়েছে। তবে প্রাক-করোনা পর্বের হিসাবে (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর) পেট্রল, ডিজ়েল ও রান্নার গ্যাসের বিক্রি বাড়লেও, গত মাসে তা কম ছিল বিমান জ্বালানির ক্ষেত্রে।