প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাঙ্ক খোলা রাখা এবং স্বাভাবিক সময়ের থেকে কম কর্মী দিয়ে আপাতত পরিষেবা চালু রাখা-সহ সাময়িক ভাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাজ্য সরকার এবং স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) মধ্যে বৈঠক হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এ রাজ্যে এসএলবিসি-র আহ্বায়ক নবীন চন্দ্র দাস।
তবে ব্যাঙ্কগুলির কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নগুলির দাবি, সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্তই শুধু ব্যাঙ্কের দরজা খোলা রাখা হোক। কাজ চালানো হোক ৫০% কম কর্মী দিয়ে। এমনকি পরিষেবাতেও কিছু কাটছাঁট করা হোক। ব্যাঙ্ক পরিষেবায় প্রায় একই ধরনের নিয়ন্ত্রণ বসানোর আর্জি জানিয়েছেন বেশ কিছু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও। নবীনবাবুর দাবি, এই প্রস্তাবগুলি নিয়েই আজকের বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে। যে কোনও সময়েই রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
কোভিডের দ্বিতীয় আক্রমণ অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো আছড়ে পড়েছে ব্যাঙ্ক শিল্পেও। যার ধার প্রথম বারের ঝাপটা থেকেও অনেক বেশি। ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাসের অভিযোগ, অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করার কারণে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যাঙ্ক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
পাশাপাশি ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের আহ্বায়ক এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগীর ক্ষোভ, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্কে কর্মী এবং অফিসার মিলিয়ে প্রতি দিন ৬০ থেকে ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে আমরা জেনেছি। অনেক কর্মী এবং অফিসারকে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে নির্বাচন পরিচালনার সরঞ্জাম আনতে হয়, সেখানে প্রচণ্ড ভিড়। সেই জায়গা থেকেই বহু কর্মী সংক্রমিত হচ্ছেন। এই সব কারণে আমরা কম কর্মী (৫০ শতাংশ) দিয়ে সীমিত সময় ব্যাঙ্ক খোলা রাখার আর্জি জানিয়ে এসএলবিসিকে চিঠি দিয়েছি।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও একই আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আইবক। ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ চিঠি দিয়েছে এসএলবিসি-কে।