প্রতীকী চিত্র।
অনলাইন কেনাটাকায় নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে ১ জুলাই। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট থেকে জোম্যাটো, সুইগির মতো সংস্থা নিয়মিত ক্রেতাদের কার্ডের বিবরণ নিজেদের ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রাখে। বার বার কেনাকাটা করলে অল্প আয়াসেই টাকা মেটানো যায়। কিন্তু এই ব্যবস্থা আর থাকবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ৩০ জুনের পরে কোনও সংস্থাই গ্রাহকের কার্ডের বিবরণ নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারবে না। এখন যে তথ্য রয়েছে তাও মুছে ফেলতে হবে। জুলাই থেকে অনলাইন কেনাকাটা হবে টোকেনের মাধ্যমে।
এখন অনেকেই নিয়মিত অনলাইনে কেনাকাটা করেন। জামাকাপড় থেকে খাবার অনলাইনে অর্ডার করা ও দাম মেটানোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বহু মানুষ। মার্চেন্ট এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণত নিজের গ্রাহকদের কার্ডের বিস্তারিত বিবরণ সংরক্ষণ করতে বলে, যাতে কেনাকাটায় গতি আনা যায়। অল্প আয়াসেই টাকা মেটানো যায়। কিন্তু এতে তথ্য চুরির ঝুঁকি থেকেই যায়। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিত কার্ডের টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে সেই ঝুঁকিটাই এড়ানো যেতে পারে।
টোকেনাইজেশন কী?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, কেনাকাটার সময়ে থার্ড পার্টি অ্যাপকে গ্রাহকরা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার বদলে একটি বিকল্প কোড দেবেন। এই কোডটাই টোকেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেই গ্রাহকদের সেই টোকেন দেওয়া হবে। প্রতিটি কার্ডের বিকল্প হিসেবে আলাদা আলাদা টোকেন হবে। যা দিয়ে কেনাকাটা করা যাবে। কিন্তু বিক্রেতা সংস্থা কার্ডের কোনও তথ্য পাবে না বা সংরক্ষণ করতে পারবে না। এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্ড প্রদানকারী এবং কার্ড ব্যবহারকারী ছাড়া লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত কোনও সংস্থাই কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবে না।
এর জন্য অবশ্য গ্রাহকদের কোনও খরচ করতে হবে না। গ্রাহকরা কার্ড প্রদানকারী সংস্থা বা ব্যাঙ্কের কাছে টোকেনের জন্য অনলাইনে অনুরোধ পাঠাতে পারবেন। টোকেনের মাধ্যমে কেনাকাটার বাকি নিয়ম অবশ্য একই থাকবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।