উৎসবের মরসুমে কম দামি গাড়ি বিক্রি কমার আশঙ্কায় আছেন ডিলারেরা। ফাইল ছবি
চড়া মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে শুক্রবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ বাড়িয়েছে। এতে ঋণের খরচ বাড়লে উৎসবের মরসুমে কম দামি গাড়ি বিক্রি কমার আশঙ্কায় আছেন ডিলারেরা। তবে গৃহঋণের খরচ বৃদ্ধির জেরে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট কেনার সাধ্য কমলেও, এখনই চাহিদায় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছে না আবাসন শিল্প এবং উপদেষ্টা মহল।
আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের ডিরেক্টর (রিসার্চ) বিবেক রাঠীর বক্তব্য, বছরের শুরুতে যাঁর এক কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনার ক্ষমতা ছিল, টানা সুদ বৃদ্ধির পরে তা নেমেছে ৯২ লক্ষ টাকায়। অর্থাৎ, ফ্ল্যাট কেনার সাধ্য সূচক কমেছে প্রায় আট শতাংশ বিন্দু। তবে অনেকের ক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় তা এখনও উপরে। এই কারণেই সুদের হার ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির জেরে ফ্ল্যাটের দাম বাড়লেও চাহিদায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখছেন না বিবেক। তাঁর কথায়, ‘‘নিজের বাড়ির প্রয়োজনীয়তা এবং শহরে আয় বৃদ্ধিই বিক্রি বাড়াবে।’’
আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পতোদিয়া বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমের আগ্রহ বাজারে সদর্থক বার্তা দেবে। আগামী কয়েক মাসও ভাল ব্যবসার আশা। উৎসব উপলক্ষে আনা প্রকল্প চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’’ তবে আর এক সংগঠন নারেডকোর ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন হীরানন্দানির মতে, ফের সুদের হার ও পণ্যের দাম বাড়লে বাজারে চাহিদা কমতে পারে।
বিক্রিতে ধাক্কার কথা জানিয়ে এ দিন গাড়ির ডিলারদের সংগঠন ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ‘‘সুদ বৃদ্ধি কম দামি দু’চাকা ও চার চাকার গাড়ি বাজারের পক্ষে বড় ক্ষতি। করোনার পরে এমনিতেই এই ধরনের গাড়ি বিক্রি শ্লথ হয়েছিল। উৎপাদন খরচ বাড়ায় গত এক বছরে দু’চাকার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাগুলি।’’ তাঁর দাবি, উৎসবের মরসুমেই গোটা বছরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিক্রি হয়। মে থেকে গাড়ি ঋণে সুদ প্রায় ২% বৃদ্ধির জেরে মাসিক কিস্তিও বেড়েছে। এই সব গাড়ির ক্রেতারা দামের ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর। ফলে তাঁরা তা কেনা থেকে মুখ ফেরাতে পারেন।