Stock Market Crash

এক দিনে গায়েব ১৩ লক্ষ কোটি! ফের ১০০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন বন্ধ হচ্ছে না বাজারের রক্তক্ষরণ?

সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ফের রক্তাক্ত হল শেয়ার বাজার। টানা চারটি সেশনে স্টকের সূচক নিম্নমুখী হওয়ায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন লগ্নিকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ফের সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার। হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ল সেনসেক্স। নিফটি ৫০-এর সূচক নেমেছে প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট। এই নিয়ে টানা চারদিন নিম্নমুখী রইল স্টকের গ্রাফ। সোমবার, ১৩ জানুয়ারি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) থেকে উড়ে গিয়েছে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা। শেষ চারটি সেশনে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে লগ্নিকারীদের।

Advertisement

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক নেমেছে চার শতাংশ। এই শেয়ার বাজারের মূলধন ছিল ৪৩০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সোমবার বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় সেটি ৪১৭ লক্ষ কোটিতে নেমে গিয়েছে।

অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) শ্রেণিভেদে নীচের দিকে নেমেছে প্রায় সমস্ত সংস্থার স্টক। নিফটিতে রিয়্যাল এস্টেট সংস্থাগুলির শেয়ারের দর কমেছে ৬.৫ শতাংশ। এ ছাড়া এই বাজারে গণমাধ্যম সংস্থার ৪.৪৫ শতাংশ, কনজ়িউমার ডিউরেবল্‌স কোম্পানির ৩.৯৪ শতাংশ, সংকর-ধাতুর ৩.৭৭ শতাংশ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৩.০৯ শতাংশ কমেছে স্টকের দর।

Advertisement

নিফটিতে ব্যাঙ্কের সূচক সব মিলিয়ে নেমেছে ১.৪২ শতাংশ। এর মধ্যে আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির স্টকের দর যথাক্রমে ১.৪৫ এবং ০.৮৭ শতাংশ সস্তা হয়েছে। হঠাৎ করে শেয়ার বাজারের এই পতনের নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

প্রথমত, সোমবার বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দর ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের উপরে ঘোরাফেরা করছে। অন্য দিকে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। এতে মস্কো থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত ‘তরল সোনা’ আমদানিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিন শেয়ার বাজারে এর সরাসরি প্রভাব দেখা গিয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ডলারের নিরিখে সর্বকালীন নীচে নেমে গিয়েছে ভারতীয় টাকার দাম। বর্তমানে এটি ৮৫ থেকে ৮৬ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্য দিকে শেয়ার বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বিদেশি লগ্নিকারী। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কুর্সিতে বসে তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনেক কিছু নির্ভর করবে। ফলে ভারতীয় শেয়ার বাজার অস্থির রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এ দিন ৭৬,৩৩০.০১ পয়েন্টে গিয়ে বন্ধ হয় সেনসেক্স। বিএসইতে ১০৪৮.৯০ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে, যা ১.৩৬ শতাংশ। নিফটি-৫০ দৌড় থামিয়েছে ২৩,০৮৫.৯৫ পয়েন্টে। এনএসইর সূচক নেমেছে ৩৪৫.৫৫ পয়েন্ট। শতাংশের হিসাবে এটি ১.৪৭ বলে জানা গিয়েছে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement