ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলাতে সমস্ত শুল্ক দফতরকে সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা কাজ করার নির্দেশ দিল অর্থ মন্ত্রক। তাদের যুক্তি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকে শিল্প মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, ভাইরাস-প্রকোপে চিন থেকে আমদানি হোঁচট খেয়েছে। এর প্রভাব কাটলে আচমকা জাহাজে আসা পণ্যের জোগান বাড়তে পারে। জট পাকিয়ে যেতে পারে এ দেশের বন্দরে। তাই মে পর্যন্ত শুল্ক দফতরকে দিনরাত কাজ করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু বন্দর ও বিমানবন্দর তা ইতিমধ্যেই করছে। মে মাস পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে।
আজ রাজস্ব দফতর সমস্ত শুল্ক কমিশনারকে জানিয়েছে, করোনোর জেরে চিনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চোট খেয়েছে। ফলে সেখান থেকে এ দেশের শিল্পের কাঁচামাল আসায় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা। চিনে রফতানিও কমতে পারে। কিন্তু উল্টো দিকে ভাইরাসের প্রকোপ কাটলেই একসঙ্গে বাড়তে পারে আমদানি, রফতানি। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই শুল্ক দফতরগুলিকে রাতদিন কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দরের পরীক্ষাগারগুলিও তা-ই করবে।
শিল্প মহলের মতে, এখন চিন থেকে পণ্য আমদানি হলেও বন্দরে জাহাজ আটকে আছে। কারণ, চিন থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মিলছে না। গভীর সমুদ্রেও বহু পণ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। এর পরে পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছবে, এখনও স্পষ্ট নয়। আজ অর্থমন্ত্রী মন্ত্রকের কর্তা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।