বন্ধ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দরজা (বাঁ দিকে)। বুধবার কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র
সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিল কেন্দ্রীয় ইউনিয়নগুলি। একই দিনে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে গিয়েছিল ব্যাঙ্কের কর্মী-অফিসারদের সংগঠনও। ফলে আশঙ্কা সত্যি করেই বুধবার দিনভর ভুগলেন গ্রাহকেরা। প্রয়োজনীয় ব্যাঙ্কের কাজ করতে পারলেন না অনেকে। দরকার পড়লেও এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে হতাশ হলেন বহু মানুষ। এ দিন ধর্মঘটের জেরে দেশ জুড়ে বন্ধ ছিল বেশির ভাগ ব্যাঙ্কের শাখা। খোলেনি সিংহভাগ এটিএম-ও। কাজ হয়েছে শুধু স্টেট ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির নেতাদের দাবি, তাঁদের ডাকা এক দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পুরোপুরি সফল।
এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগরের দাবি, ‘‘ধর্মঘটে সারা দেশেই ব্যাঙ্ক পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে। বন্ধ ছিল সিংহভাগ এটিএম। সেগুলির কর্মীরাও ধর্মঘটী ইউনিয়নে শামিল ছিলেন।’’
কেন্দ্রের শ্রমনীতি ও বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ দিন বিএমএস ছাড়া বাকি প্রায় সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নই দেশ জুড়ে ধর্মঘট ডাকে। ব্যাঙ্ক শিল্পের পাঁচটি সংগঠনও ধর্মঘট ডাকে। ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ও ন্যাশনাল কনফেডারেশন ব্যাঙ্ক অফিসার্স তাতে শামিল না-হলেও নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। শুধু বিএমএস অনুমোদিত দু’টি ইউনিয়নই বিরোধিতা করেছে।
এ দিন ধর্মঘটে যোগ দেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। সাধারণত তাঁরা ধর্মঘট সমর্থন করলেও, পুরোদস্তুর শামিল হন খুব কম। অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, ‘‘দেশে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রায় সব শাখাই
বন্ধ ছিল। কেন্দ্রের শ্রমিক বিরোধী নীতির প্রতিবাদের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা ও বাইরের লোক দিয়ে কাজ করানোর প্রতিবাদও করেছি ধর্মঘটের মাধ্যমে।’’তবে স্টেট ব্যাঙ্কে কাজ হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক স্টাফ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ খান বলেন, ‘‘ধর্মঘটের ডাক যে’কটি ইউনিয়ন দিয়েছে, তার মধ্যে আমরা ছিলাম না। নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। সিংহভাগ শাখায় এ দিন কাজ হয়েছে। কিছু শাখায় ধর্মঘটীরা এসে পিকেটিং করলে কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন।’’