প্রতীকী ছবি।
বছর শেষের দিনে সামনে এল পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ফের ধাক্কা খাওয়ার হিসেব। এ নিয়ে টানা চার মাস। নভেম্বরে তা সঙ্কুচিত হল ১.৫%। চিন্তা বাড়াল রাজকোষ ঘাটতির আরও মাথা তোলা। তবে এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চলতি খাতে ঘাটতি কমা। মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে ওই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে জিডিপির ০.৯% বা ৬৩০ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে ছিল ২.৯% বা ১৯০০ কোটি। জুন ত্রৈমাসিকে ১৪২০ কোটি ডলার বা জিডিপির ২%।
মঙ্গলবার কেন্দ্র পরিকাঠামোয় বিপুল ব্যয়ের কথা ঘোষণার দিনেই সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ধাক্কা খেয়েছে কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইস্পাত ও বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে কিছুটা বেড়েছে সার ও শোধনাগারের পণ্য। সিমেন্টে বৃদ্ধির হার কমেছে। তার উপরে নভেম্বরে রাজকোষ ঘাটতিও পৌঁছেছে বাজেট লক্ষ্যমাত্রার ১১৪.৮ শতাংশে। টাকার অঙ্কে তা ৮.০৭ লক্ষ কোটি।
অনেকে বলছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে মূলত বাণিজ্য ঘাটতি ৩৮১০ কোটি ডলারে নেমে আসার হাত ধরেই কমেছে চলতি খাতে ঘাটতি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব বাজারে চাহিদার অভাবে কমেছে রফতানি। তেমনই দেশে কেনাকাটা কমার জেরে আমদানি নেমেছে। যার জেরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। তাই চলতি খাতে ঘাটতি কমলেও, সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতি সম্পর্কে খুব একটা ভাল বার্তা শোনা যাচ্ছে না।