Share Market

BSE SENSEX: হাজার ছাড়ানো পতনে মুছল ৪.৮২ লক্ষ কোটি

দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র মতে, ‘‘হালে বহু নতুন সংস্থা শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৭:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অর্থনীতির সমস্ত সঙ্কট ও উদ্বেগকে উপেক্ষা করে সেনসেক্স ৬০ হাজার পেরনোর পরে পতন চাইছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। সতর্ক করছিলেন, যোগ্যতা না-থাকা সত্ত্বেও বহু শেয়ারের বিপজ্জনক ভাবে চড়ে থাকা দাম ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাই তাতে সংশোধন জরুরি। তবুও বৃহস্পতিবার প্রায় ১১৫৯ পয়েন্ট ধস নামার পরে সেনসেক্স যখন ফের ৫৯ হাজারের ঘরে ফিরে গেল, তখন খুচরো লগ্নিকারীরা খানিকটা হতাশই। কারণ, ততক্ষণে বিএসই থেকে প্রায় ৪.৮২ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ হারিয়ে গিয়েছে। এ দিন ছ’মাসের মধ্যে সর্বাধিক দৈনিক পতন শেষে সেনসেক্স ৫৯,৯৮৪.৭০ অঙ্কে থেমেছে। নিফ্‌টি ৩৫৩.৭০ পড়ে হয়েছে ১৭,৮৫৭.২৫।

Advertisement

তবে পতনে খুশি বিশেষজ্ঞেরা। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র নারায়ণ পরামানিক বলেন, ‘‘সূচকের টানা বৃদ্ধি বাজারের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল লক্ষণ নয়। ৬০ হাজার ছাড়ানোর পরে এত বড় পতনই দরকার ছিল। স্থিতিশীলতা আনতে আরও নামতে হবে।’’ আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত মনে করেন, এতে নতুন করে লগ্নির দরজা খুলল।

দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র মতে, ‘‘হালে বহু নতুন সংস্থা শেয়ার ছেড়ে টাকা তুলছে। সেগুলির একাংশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেকেই আশাবাদী। তাঁদের একাংশ তাই হাতের শেয়ার বেচে পাওয়া মুনাফার টাকা সেগুলিতে ঢালছেন। আজকের ধসের এটা একটা কারণ। এই প্রবণতা সূচককে চাঙ্গা রাখবে।’’

Advertisement

বাজার মহলের আবার দাবি, আমেরিকার অর্থনীতি প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি করেনি। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও এতেই আতঙ্কিত হয়ে ভারতে নাগাড়ে শেয়ার বেচছে। তার প্রভাব পড়েছে সূচকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement