CRISIL

বৈদ্যুতিক দু’তিন চাকা নিয়ে আশার বার্তা 

এখনও ব্যাটারি-সহ বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ মূলত আমদানি করতে হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছর চারেকের মধ্যে দেশে নতুন দু’চাকার ও তিন চাকার গাড়ির মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির অংশীদারি উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছবে। এক রিপোর্টে মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল জানিয়েছে, নতুন তিন চাকার গাড়ির প্রায় ৪৮% হবে বৈদ্যুতিক। আর দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে ১৭%। তবে চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের ব্যবহার তুলনায় অনেক কম, মাত্র ৫ শতাংশের মতো থাকবে বলে মনে করছে তারা।

Advertisement

গত বছর কেন্দ্রের এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ ছিল, ২০২৩ সালের পর থেকে ১৫০ সিসির কম ইঞ্জিনের দু’চাকার নতুন গাড়ি শুধু বৈদ্যুতিকই হতে হবে। এবং ২০২৫ সাল থেকে সব তিন চাকার গাড়িই বৈদ্যুতিক হোক।

বস্তুত, এখনও ব্যাটারি-সহ বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ মূলত আমদানি করতে হয়। ফলে প্রচলিত কোনও গাড়ির বৈদ্যুতিক সংস্করণের দাম অনেক বেশি পড়ে। সেই গাড়ি চালানোর খরচ পেট্রল-ডিজেলের চেয়ে অনেক কম পড়লেও প্রাথমিক গাড়ি কেনার খরচ অনেক বেশি হওয়ায় তার চাহিদা ধাক্কা খায়। বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমাতে ব্যাটারি ও অন্য আমদানি করা যন্ত্রাংশ এ দেশেই তৈরির চেষ্টা চলছে।

Advertisement

তবে ক্রিসিলের দাবি, তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনা ও তা চালানোর খরচ প্রচলিত তিন চাকার গাড়ির চেয়ে কম পড়ে। ফলে চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের প্রথম পাঁচটি দু’চাকার গাড়ি নির্মাতা এখন ৪ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করলেও ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হবে প্রায় ৩০ লক্ষ।

তবে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ি কেনার খরচ বেশি হওয়ায় এবং এ জন্য আর্থিক উৎসাহের কিছুটা অভাব থাকায় সেই গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি ততটা হবে না। তবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়তে পারে। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর খরচ কম হওয়ায় অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির সুবিদা হবে। পাশাপাশি সরকারি পরিবহণ সংস্থা ভর্তুকি দিলে এবং চার্জ দেওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হলে বৈদ্যুতিক বাসের ব্যবহার বাড়বে বলেও মত ক্রিসিলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement