তুহিনকান্ত পাণ্ডে। ছবিঃ পিটিআই।
লোকসভা ভোটের কিছু দিন আগে থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সেই পথ থেকে তাঁর সরকার পুরোপুরি সরে আসবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। বিশেষত যখন গত ১০ বছরে এক-দু’বার ছাড়া নিজেদের স্থির করা বিলগ্নির লক্ষ্যই ছুঁতে পারেনি কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা কিছুটা মিলিয়ে লগ্নি ও সরকারি সম্পদ পরিচালন দফতরের (দীপম) সচিব তুহিনকান্ত পাণ্ডে জানালেন, শুধু স্থির করা লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার জন্য বিলগ্নিকরণে জোর দেওয়া হবে না। বরং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উন্নত পরিচালনার হাত ধরে তাদের বাজার দর বাড়ানো এবং আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরানোই হবে কেন্দ্রের লক্ষ্য।
পাণ্ডের দাবি, বাজারে নথিভুক্ত ৭৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থার মোট শেয়ারমূল্য (মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন) দাঁড়িয়েছে ৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। তিন বছরে তা বেড়েছে চার গুণ। জীবনবিমা নিগম বা এলআইসি-র বাজারমূল্য পৌঁছেছে ৭.২ লক্ষ কোটি টাকায়। সংস্থাগুলির পারফরম্যান্স, মূলধনের উন্নতি হয়েছে। সংস্থার স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত রেখে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। লগ্নিকারীরা তার দিকে নজর রাখছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সম্পর্কে তাদের ধারণা বদলাচ্ছে।
পাণ্ডের কথায়, ‘‘বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া রয়েছে শুধু সাহায্যের জন্য। এটা সম্পদ পরিচালনার কৌশলের অংশ মাত্র। কিন্তু মূল কৌশল নয়। বিলগ্নিই আসল হলে সেটা অর্থনীতি পরিচালনার অংশ হয়ে উঠত। সরকারি সম্পদ পরিচালনার নয়। এখন আমরা সম্পদ তৈরিতেই জোর দেব।’’ সচিবের প্রশ্ন, ‘‘শেয়ার বাজারকে বিশ্বাস করব না কেন? এটা বলতে পারি না যে, এই হল লক্ষ্য। সেটা মেনেই শেয়ার বেচতে হবে। এই ভাবে কাজ করে এর আগে কোনও লাভ হয়নি।’’