ফাইল চিত্র
লগ্নি টেনে অর্থনীতির হাওয়া ঘোরানোর যুক্তিতে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য শ্রম আইন সংশোধন করেছে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, শ্রম আইন লঘু করে আদতে কর্মীদের ভবিষ্যৎকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে অনিশ্চয়তার পথে। নিয়োগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে যথেচ্ছ ছাঁটাইয়ের অস্ত্র। সোমবার ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, রাজ্যগুলির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের শ্রম সংস্থার (আইএলও) দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে তারা। দেওয়া হয়েছে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও। বিবৃতিতে অংশগ্রহণ না-করলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তোলার জন্যও রাজ্য ইউনিটগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
একই দিনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর তোপ, করোনার মোকাবিলা শ্রমিককে শোষণের যুক্তি হতে পারে না। তাঁর দলের দাবি, শ্রম আইন যৌথ তালিকাভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যদি শ্রমিকদের বিষয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বেগ থাকে, তা হলে তিনি এখনই ওই রাজ্যগুলিকে শ্রম আইন সংশোধন করতে নিষেধ করুন।
শ্রম আইনের কিছু মূল নীতি বাদ দিয়ে বাদবাকি ধারা বছর তিনেক স্থগিত রাখার কথা বলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। রয়েছে কাজের সময় বাড়ানোর প্রস্তাবও। যাতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, শ্রমিক বিরোধী নীতি নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র। এ দিন রাহুল বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি রাজ্য শ্রম আইন সংশোধন করছে। আমরা সকলে একসঙ্গে করোনার মোকাবিলা করছি। কিন্তু সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, কর্মক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে ছাড় দেওয়া, কর্মীদের শোষণ বা তাঁদের কণ্ঠরোধ করার অজুহাত হতে পারে না। এই সংক্রান্ত মূল নীতিতে আপস করা যাবে না।’’ কংগ্রেসের মতে, ‘সুট-বুট কি সরকার’-এর চরিত্র ফের স্পষ্ট হল। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সুরাহা দেওয়ার নাম করে কেন্দ্র শ্রম, জমি, পরিবেশ আইনকে কার্যত শিল্পপতি ও বিদেশি লগ্নিকারীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে।
আরও পড়ুন: মকুব নয়, লাগাম সম্ভব স্থায়ী খরচে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)