প্রতীকী ছবি
লকডাউনে উৎপাদন ও ব্যবসায় তালা ঝোলায় রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে বিদ্যুৎ বিলের স্থায়ী খরচ মকুবের আবেদন জানিয়েছিল বহু কল-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সূত্রের খবর, তা খারিজ করেছে প্রশাসন। তবে খরচ কমানোর বিকল্প পথ হিসেবে তাদের পরামর্শ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত সংস্থাগুলি কারখানা বা অফিসের লোড কমানোর আর্জি জানাতে পারে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে। লোড কমলে অঙ্কের নিয়মে স্থায়ী খরচ কমবে। তাতে সাশ্রয় হবে।
বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, কেউ চলতি মাসে লোড কমানোর আর্জি জানালে জুন থেকেই তা কার্যকর হবে। তবে পুরনো লোড চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী খরচের বকেয়া মেটাতে হবে। ওই কর্তার যুক্তি, আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে। বিল আদায় মার খাচ্ছে। ফলে আর্থিক অনটনে তারাও। অথচ পরিকাঠামো খাতে রক্ষণাবেক্ষণ-সহ নানা ক্ষেত্রে বা কর্মীদের বেতনের মতো স্থায়ী খরচ বইতে হচ্ছে। এই অবস্থায় বাণিজ্যিক সংস্থা বা কারখানার স্থায়ী খরচ মাফ করলে বিপদে পড়বেন তাঁরাও। উল্লেখ্য, দেশের বিদ্যুৎ আইনে কোনও সংস্থা বছরে একবার লোড কমানোর আর্জি জানাতে পারে। লোড বাড়ানোর আর্জি অবশ্য যত বার খুশি করা যাবে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকায় একটি সংস্থার সঙ্গে ১০০০ কেভিএ (১ মেগাওয়াট) লোডের চুক্তি হলে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ নির্ধারিত বিলের সঙ্গে স্থায়ী খরচ যোগ হয়। যা চুক্তির ন্যূনতম ৮৫%। বিদ্যুৎ খরচ না-হলেও সেই দাম সংস্থাকে দিতেই হবে। তা মার্চ থেকে মকুবের আবেদন করেছিল সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন: করোনার আবহেই বাড়ছে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)