রতন টাটা।ফাইল চিত্র।
বস্তি এলাকাকে আসলে শহুরে উন্নয়নের ‘অবশিষ্ট’ অংশ হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছে। সোমবার নির্মাতা ও স্থপতিদের উদ্দেশে এ কথা বলেই একহাত নিলেন টাটা গোষ্ঠীর এমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটা। তীব্র সমালোচনা করে বললেন, সেখানকার বাসিন্দারা তাজা হাওয়ার স্বাদ পান না। যথেষ্ট খোলা জায়গাও নয়। এটা লজ্জার। যা ওই সব দ্রুত করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ।
অনলাইনে এক আলোচনায় করোনা সংক্রমণের অন্যতম কারণ হিসেবে এ দিন স্থপতিদের কাঠগড়ায় তোলেন টাটা। উষ্মা প্রকাশের পাশাপাশি অবশ্য এই প্রসঙ্গে নিজের ভাল লাগার বিষয়, স্থাপত্যবিদ্যা সম্পর্কে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এই বিষয়টিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে না-পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন।
টাটার মতে, বস্তি এলাকার জীবনযাপনের ইতি টানতে বাসিন্দাদের ২০-৩০ কিমি দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর তাদের জায়গায় তৈরি হয়েছে দামি আবাসন। কিন্তু নিজের জায়গা থেকে উৎখাত হওয়া সেই মানুষগুলোর জন্য সেখানে নেই কোনও কর্মসংস্থানের সুযোগ। স্থপতি ও বিল্ডাররা যে বিকল্প উঁচু বাড়ি তাঁদের জন্য বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলেছেন, সেখানকার পরিবেশ যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর নয়। কম দামি ওই ঘন বসতিপূর্ণ পরিকাঠামো এখন করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। বস্তুত, তাঁর মতে, সাধ্যের আবাসন ও বস্তি দূর করা, এই দু’টি একে অপরের বিরোধী।
প্রথার বাইরে গিয়ে মন্তব্য করায় বরাবরই কিছুটা স্বতন্ত্র টাটা। তাঁর এই বার্তা মূলত মুম্বইয়ের ধারাভি প্রসঙ্গে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে প্রায় ১৪০ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। আশঙ্কা, তা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: নেটে শুধুই অত্যাবশ্যক পণ্য, পিছু হটে নির্দেশ কেন্দ্রের