রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
করোনার থাবায় সমস্যায় শিল্প। বেশি সঙ্কটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থা। দু’মাস পরে যাদের অর্ধেকের হাতেই কার্যকরী মূলধন থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এই অবস্থায় মূলত তাদের গুরুত্ব দিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা সত্ত্বেও তাদের হাতে সেই সমস্ত সুবিধা ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর কাছে অভিযোগ করলেন ভারত চেম্বারের প্রতিনিধিদের একাংশ। ঘুরে দাঁড়াতে বন্ধক রাখা সম্পত্তি ভাঙানো সাময়িক বন্ধ রাখা, সুদে ভর্তুকির মতো একগুচ্ছ আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা। গড়কড়ী সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ছোট সংস্থাগুলির বকেয়া সুদ-সহ মেটাতে বিশেষ প্রকল্প আনার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।
ছোট শিল্পের জন্য ত্রাণের দাবি তুলতে ইতিমধ্যেই আমজনতার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। কেন্দ্রও জানে, এই শিল্পকে বাঁচাতে না-পারলে শুধু যে কর্মসংস্থানে কোপ পড়বে তা-ই নয়, বড় শিল্পের কাঁচামালের জোগানও ধাক্কা খাবে। পরিস্থিতি বুঝতে শিল্প মহলের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছেন গডকড়ী। এ দিনের বৈঠকে ভারত চেম্বারের পক্ষে আর মাহেশ্বরী তাঁকে জানান, সরকারি নিশ্চয়তা না-পেলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের পরেও অতিরিক্ত কার্যকরী মূলধন জোগাতে চাইছে না অধিকাংশ ব্যাঙ্ক। গডকড়ী আশ্বাস দিয়েছেন, এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও ব্যাঙ্ক-কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। ছোট শিল্পের প্রাপ্য বকেয়া মেটাতে একটি প্রকল্প তৈরির চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পিচ্ছিল তেলে হড়কে বিপাকে দেশি সংস্থাও
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)