প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত সরবরাহ এবং চাহিদা কার্যত শূন্যে নামা, এই জোড়া ধাক্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম তলানিতে ঠেকেছে। যার ফলে ভারতেও সমস্যা বেড়েছে ওএনজিসির মতো তেল উৎপাদনকারী সংস্থার। তাদের বক্তব্য, যে দাম তারা পাচ্ছে, তাতে উৎপাদনের খরচও উঠছে না। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় সেস, রয়্যালটি আপাতত না-নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
গত সোমবার ব্যারেল প্রতি মার্কিন অশোধিত তেলের (ডব্লিউটিআই) মে মাসের আগাম দর শূন্যেরও প্রায় ৪০ ডলার নীচে নেমেছিল। বুধবার সকালে ওপেক গোষ্ঠী এবং তার সহযোগী দেশগুলির মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্সের খবরে বিশ্ব বাজারে তেলের দর কিছুটা উঠলেও, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা আবার নিম্নমুখী হতে থাকে। ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দর নামে ১৭ ডলারের নীচে। ডব্লিউটিআইয়ের জুনের আগাম দর নামে ১১ ডলারে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আপাতত কোনও খবরই আর তেলের বাজারকে স্থায়ী ভাবে শক্তিশালী করতে পারবে না। বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রভাব কাটার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।
এই অবস্থায় সব থেকে চাপে তেল উৎপাদন সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, ওএনজিসি কেন্দ্রকে জানিয়েছে, এপ্রিলে তারা ব্যারেল প্রতি গড়ে ২২ ডলার করে দাম পেতে চলেছে। যার অর্থ, সংস্থা চালানোর খরচটুকুও উঠবে না। তার উপরে সম্প্রতি প্রাকৃতিক গ্যাসের দরও এক দশকের তলানিতে। তাদের দাবি, তেলের দাম হিসেবে ব্যারেলে অন্তত ৪৫ ডলার না-পেলে সেস নেওয়া বন্ধ রাখুক কেন্দ্র। সমুদ্রের নীচ থেকে উৎপাদিত তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রেও বন্ধ থাকুক রয়্যালটি নেওয়া।
আরও পড়ুন: এখন না কমলে কখন? তেল নিয়ে ফের তির
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)