প্রতীকী ছবি
জোগান বিপুল। অথচ চাহিদা নেমেছে তলানিতে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে অশোধিত তেলের দর। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর জেরে বড় রকমের ধাক্কা খেতে চলেছে পশ্চিম এশিয়ার অর্থনীতি। যারা মূলত তেলের রফতানি নির্ভর। আইএমএফ জানিওয়েছে, এ বছর সমগ্র পশ্চিম এশিয়ার অর্থনীতির সরাসরি কমবে।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, মে-জুনে অধিকাংশ দেশের তেল ভান্ডার পূর্ণ থাকবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না তেলের বাজারে। সোমবার ব্যারেলে ব্রেন্ট ক্রুড ২০ ডলারে নামে। মার্কিন অশোধিত তেলের জুনের আগাম দর নামে ২.৪২ ডলারে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, একাধিক তেল লেনদেনকারী সংস্থা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।
পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির রাজস্বের বড় অংশ আসে তেল বেচে। রাজস্ব যে বিপুল কমবে তা স্পষ্ট। এই অঞ্চলের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী সৌদি আরবকে বহু সরকারি প্রকল্প স্থগিত রাখতে হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের সুযোগ কমাতে পারে ইরাক। যাদের বাজেটের ৯০% অর্থ বরাদ্দই হয় তেল রফতানি করে। সে ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া অবশ্যম্ভাবী। বাহারিনের ঋণ ছুঁয়েছে জিডিপির ১০৫%। কোনও কোনও দেশকে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে হাত দিতে হয়েছে। কিছু দেশে মার্কিন তেল উত্তোলন সংস্থা কর্মী ছেঁটেছে বিপুল। মিশর, লেবাননের অর্থনীতি নির্ভর করে পশ্চিম এশিয়া থেকে তাদের দেশের কর্মীদের পাঠানো টাকার উপরে। এ বছর তাতেও বিপুল টান।
আরও পড়ুন: খাবার, ওষুধ-সহ সবরকমের পণ্য সরবরাহের অনুমতি চাইল ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজন