প্রতীকী ছবি
ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড তো মাটি ছুঁয়েছেই। পরিবহণ ও পর্যটন ক্ষেত্রও কার্যত স্তব্ধ। যার ফলে এপ্রিলে সারা দেশে জ্বালানির বিক্রি এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ৭০% কমেছে। লকডাউনের বাজারে এই পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত নয় বলেই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এই সময়ের মধ্যে রান্নার গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। সোমবার তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, আর্থিক কাজকর্ম ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। মে মাসে জ্বালানির বিক্রি বাড়বে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের প্রথমার্ধে পেট্রলের বিক্রি ৬৪% কমলেও মাসের শেষে তা দাড়িয়েছে ৬১%। ডিজেলের ক্ষেত্রেও প্রথমার্ধে বিক্রি ৬১% কমেছিল। মাসের শেষে তা হয়েছে ৫৬.৫%। অর্থাৎ, মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এই দুই পেট্রোপণ্যের ব্যবহার সামান্য হলেও বাড়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে। চলতি মাসে লকডাউনের বিধি কিছুটা শিথিল হওয়ায় তা আরও খানিকটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এপ্রিলে পেট্রল বিক্রি হয়েছে ৮.৭ লক্ষ টন। এক বছর আগে তা ২২.৩ লক্ষ টন ছিল। ডিজেলের ক্ষেত্রে তা ৬৫.৬ লক্ষ টন থেকে কমে ২৮.৪ লক্ষ টন হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিমানের জ্বালানির ব্যবহার। তা পড়েছে প্রায় ৯১.৫%। সামগ্রিক ভাবে জ্বালানির চাহিদা ৭০% কমেছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্র দরিদ্রদের নিখরচায় রান্নার গ্যাস দেওয়ায় তার ব্যবহার ১২% বেড়েছে। সরবরাহ হয়েছে ২১.১ লক্ষ টন গ্যাস।