ছবি এএফপি
লকডাউন উঠলে শিল্পের কর্মকাণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বিরাট কোনও প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না নীতি আয়োগের ভাইস-চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। কারণ তাঁর মতে, এই শ্রমিকদের খুব অল্প অংশই ঘরে ফিরছেন। যদিও এই শ্রমিকদের ছাড়া শিল্প বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এগোবে কী করে, এই প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, যখনই তাঁরা কাজে ফিরতে চাইবেন, পারবেন। কিন্তু ফিরলেই কাজ মিলবে তো? এই আশঙ্কার অবশ্য সরাসরি উত্তর মেলেনি। নির্মলা শুধু বলেছেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে শ্রম মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ভাবা হচ্ছে নতুন বিধি তৈরির কথা।
তবে রাজীব বলছেন বেমালুম অন্য কথা। তাঁর দাবি, ‘‘যদি ৩.৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক থাকেন, তাঁদের ৫০-৬০ লক্ষ ঘরে ফিরেছেন। ফলে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু হলে বাকিরা উৎপাদন কেন্দ্রে যোগ দিতে পারবেন।’’
আর্থিক সুরাহা ও ছাড় দেওয়া প্রসঙ্গে রাজীবের মন্তব্য, এই মুহূর্তে করদাতা বেতনভুক মধ্যবিত্ত শ্রেণির তুলনায় সরকারের কাছে জরুরি ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পকে বাঁচানো।