অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ত্রাণ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থার (এমএসএমই) সংজ্ঞা বদলের পাশাপাশি শর্ত সাপেক্ষে তাদের ধার দেওয়ার কিছু সুরাহা ঘোষণা করেছেন। যা আদতে বিপর্যস্ত ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলির কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে নাগাড়ে চলছে বিতর্ক। তারই মধ্যে মঙ্গলবার মার্চেন্ট চেম্বারের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে এই শিল্পের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর বার্তা, ফের মাঝারি সংস্থার সংজ্ঞা বদলের কথা ভাবছে সরকার। যেখানে মাঝারি তকমা পাওয়ার জন্য লগ্নি (২০ কোটি থেকে বেড়ে ৫০ কোটি) ও ব্যবসার (১০০ কোটি থেকে বেড়ে ২৫০ কোটি) ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের তোপ, কেন্দ্র সুযোগ পেয়ে আরও বড় সংস্থাকে সুবিধা পাওয়ার রাস্তা খুলে দিচ্ছে। অথচ যে ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলির হাত শূন্য, ত্রাণ প্রকল্পে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর দাওয়াই নেই। এ দিন মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ-ও বলেছে, এমএসএমই-র জন্য ঘোষিত ত্রাণের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান তারা।
তবে এ দিন গডকড়ী বলেন, ‘‘মাঝারি সংস্থার তকমা পাওয়ার পরিধি বাড়লে সকলের উপকার।’’ এর আগেও কেন্দ্র বলেছিল, এতে আরও বহু সংস্থা ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য বরাদ্দ আর্থিক সুবিধাগুলি পাবে। যা সঙ্কটের সময় বসে যাওয়া শিল্পের চাকা ঘোরাতে সাহায্য করবে। কেন্দ্রের উদ্যোগে খুশী শিল্পের একাংশও। মার্চেন্ট চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ শাহের দাবি, সারা বিশ্বে বার্ষিক ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করা সংস্থা মাঝারি হিসেবে গণ্য হয়। এ ছাড়া ২০ কোটি লগ্নি করা সংস্থার ব্যবসা ১০০ কোটি টাকার (নির্মলা ঘোষিত নতুন সংজ্ঞা) চেয়ে অনেক সময়েই বেশি হয়। তা না-হলে লগ্নি ব্যবসায়িক ভাবে লাভজনক না-ও হতে পারে। তাই মাঝারি শিল্পের পরিধি বাড়লে আরও অনেকের আর্থিক সুরাহা হবে।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ভয়াল মন্দা, বার্তা গোল্ডম্যানের
সংবাদ সংস্থার সূত্রের অবশ্য ইঙ্গিত, ছোট-মাঝারি সংস্থার সংজ্ঞা নির্ধারণে লগ্নি ও ব্যবসা, এই দুই মাপকাঠির বদলে নিতিন যে কোনও একটি নির্দিষ্ট করার পক্ষে। ফিচ-ও মনে করছে, এতে নগদ জোগান ধাক্কা খাবে। কারণ, কোনও একটি মাপকাঠির শর্ত পূরণ না-হলেই ঋণ পাবে না সংস্থা।