প্রতীকী ছবি
কারও হয়তো ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট নেই। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু লকডাউন চলায় ব্যাঙ্কের শাখায় পৌঁছতে পারছেন না। অথচ হাঁটাপথেই ডাকঘর। তা হলে প্রয়োজনে ডাকঘর থেকে আধার নম্বরের ভিত্তিতে (এইপিএস) নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। আরও বেশি মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছতে মাস ছয়েক আগে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কে (আইপিপিবি) ওই পরিষেবা মিলছে। চলতি মাসে এ রাজ্যের ডাকঘরগুলি থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা ১.৫০ কোটি টাকার বেশি তুলেওছেন, দাবি ডাক বিভাগের।
ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেও শাখা দূরে হওয়ায় অনেক সময় বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার গ্রাহকেরা সমস্যায় পড়েন। অথচ ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তার প্রাপ্ত অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা পড়ে। লকডাউনে গোড়ায় ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের অনেক শাখাই বন্ধ ছিল। পরে ব্যাঙ্কের সব শাখা চালু হলেও দূরত্ব ও যাতায়াতের সমস্যা রয়েছেই। চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) গৌতম ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যে ১৭০০ সাব-পোস্টঅফিসের পাশাপাশি ৭৩০৬টি গ্রামীণ ডাকঘর থাকলেও সর্বত্র ব্যাঙ্কের তত শাখা নেই। তাই ডাকঘরের মাধ্যমে ন্যূনতম ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া ওই পরিষেবা এখন আরও বেশি কাজে লাগছে।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে ডাকঘরগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১.৫৪ কোটি তুলেছেন গ্রাহকেরা।’’ ডাক বিভাগের দাবি, চাহিদা এত বেড়েছে যে, গ্রামীণ ডাকঘরের পোস্ট মাস্টারকে বিভাগীয় নগদ জোগানের সঙ্গে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হচ্ছে।
লকডাউনে কিছু গ্রামীণ ডাকঘরে নগদ কম পৌঁছচ্ছে। বারাসত সাব ডিভিশনের মিরহাটি গ্রামীণ ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার কুন্তল মাইতি তাই বিশেষ কৌশল নিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ব্যাঙ্কে ভিড়ের জন্য দৈনিক ব্যবসার টাকা জমা দিতে পারছিলেন না। তাঁকে আইপিপিবি-তে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছেন। তিনি আয়ের টাকা ওই ডাকঘরের অ্যাকাউন্টে জমা দিচ্ছেন। আর ডাকঘরে আসা ব্যাঙ্ক গ্রাহককে এইপিএস পদ্ধতিতে টাকা দিতে কুন্তুলবাবুরা ব্যবসায়ীর অর্থ দিয়ে নগদের সমস্যা মেটাচ্ছেন।