প্রতীকী ছবি
করোনার থাবায় বিমান পরিবহণ ও পর্যটন শিল্পে বহু জনের কাজ খোয়ানোর সঙ্কট সম্পর্কে দানা বাঁধছে আশঙ্কা।
সূত্রের খবর, করোনার আক্রমণে ওই দুই ক্ষেত্র কতটা জখম, তা পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডাকতে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। সেই অনুযায়ী হওয়া বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে যে সম্ভাব্য ছবি উঠে এসেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
ওই সূত্রের দাবি, বৈঠকে আলোচিত বিষয় অনুযায়ী ওই সমস্ত শিল্পের অন্তত ৭০% সংস্থার ব্যবসায় ইতিমধ্যেই করোনার প্রভাব পড়েছে। এই ক্ষেত্রের ৯৫% ছোট-মাঝারি শিল্পের হাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার নগদ আছে মোটে ২০-২৫ দিনের জন্য। তার পরে ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হবে অনেকেই। সরাসরি চাকরি যেতে পারে প্রায় আড়াই কোটি। পরোক্ষ ভাবে কাজ খোয়াতে পারেন আরও দু’কোটি। এঁদের পরিবারের সদস্যদের ধরলে, আর্থিক সমস্যার মুখে দেশের ২০ কোটি মানুষ।
পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা বিভিন্ন পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সূত্রের খবর, রেল বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী বাতিল হচ্ছে আগে থেকে কেটে রাখা প্রায় ৬৩% টিকিট। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং বাতিলের কথা জানাচ্ছে হোটেল শিল্প। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পরিবহণ ও পর্যটন শিল্পে প্রাথমিক ভাবে আছড়ে পড়া এই ধাক্কা ভারত-সহ সব দেশের অর্থনীতিকেই কুপোকাৎ করতে পারে। যা আঁচ করে অর্থনীতিতে ধস ঠেকাতে ১ লক্ষ কোটি ডলার ত্রাণ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে অনেক দেশ। মোদী সরকারও তেমন কিছু ভাবছে কি না, সেই প্রশ্ন এ দিন সংসদে তুলেছেন বিরোধীরা।